সংক্ষিপ্ত
সংস্কৃতে দুর্গা শব্দের অর্থ ‘একটি দুর্গ’ বা ‘এমন একটি স্থান যা অতিক্রম করা কঠিন’। কখনও দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যার আক্ষরিক অর্থ হল যিনি দুঃখ দূর করেন।
শীঘ্রই সমাপ্ত হবে এক বছরের অপেক্ষা। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই মর্ত্যে আসছেন মা দুর্গা। তিনি, মহাবিশ্বের মা। হিন্দু ধর্মানুসারে তিনি হলেন সব থেকে জনপ্রিয় দেবী। সংস্কৃতে দুর্গা শব্দের অর্থ ‘একটি দুর্গ’ বা ‘এমন একটি স্থান যা অতিক্রম করা কঠিন’। কখনও দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যার আক্ষরিক অর্থ হল যিনি দুঃখ দূর করেন।
বিভিন্ন অবতার
হিন্দু ধর্মে, প্রধান দেব-দেবীদের একাধিক অবতার রয়েছে। তিনি মা কালী, মা ভগবতী, মা ভবানী, মা অম্বিকা, মা ললিতা, মা গৌরি, মা কন্দলিনী, মা রাজেশ্বরী অবতারে পুজিত হন। শাস্ত্র মতে, মা দুর্গা যখন নিজের রূপে আবির্ভূত হন, কখন তিনি নয়টি নামে পুজিত হন। স্কন্দমাতা, কুসুমন্দা, শৈলপুত্রী, কালরাত্রি, ব্রক্ষ্মচারিণী, মহাগৌরী, কাত্যায়নী, চন্দ্রঘন্টা ও সিদ্ধিদাত্রী।
দেবীর আবির্ভাব
মা দুর্গা হলেন শক্তির দেবী। ঋগ্বেদে দুর্গার বর্ণনা অনুসারে, দেবী দুর্গার জন্ম হয়নি। তাঁর আবির্ভাব ঘটে। অসুরকে বধ করতে দেবীর আবির্ভাব ঘটে। সপ্তশতী-তে বর্ণিত আছে, মহাশক্তি ব্রক্ষ্মার ব্রক্ষ্মত্ব, শিবের শিবত্ব, বিষ্ণুর বিষ্ণুত্ব প্রদান করেছিলেন দেবী দুর্গাকে। তিনি মা রক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হন। মা দুর্গা বহু অঙ্গ বিশিষ্ট। যার অর্থ তিনি সর্বদা যে কোনও দিক থেকে মন্দের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন। তিনি ত্রিয়না। তাঁর বাম চোখ ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে, চাঁদের প্রতীক। ডান চোখ কর্ম প্রতিনিধিত্ব করে, সূর্যের প্রতীক। আর দেবীর মধ্যম চোখ জ্ঞানের প্রতিনিধিত্ব করে, যা আগুনের প্রতিক।
দেবীর অস্ত্র
দেবী দূর্গা দশভুজা নামে পুজিত হন। দেবীর দশ হাতে আছে দশটি অস্ত্র। শঙ্খ অতীন্দ্রিয় শব্দ ওম-এর প্রতীক। যা শব্দের আকারে ঈশ্বরকে ধরে রাখার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। ধনুক ও তীর শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এক হাতে ধনুক ও তীর উভয়কে ধরে রেখে, দেবী দুর্গা শক্তির উভয় দিকের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ প্রদর্শন করেন। চক্র দৃঢ়তা ও সংহতির প্রতীক। দেবীকে ত্রিশূল দান করেছিলেন স্বয়ং মহাদেব। কথিত আছে ত্রিশূলের তিনটি ফলার আলাদা অর্থ। মানুষে তিনটি গুণ- সত্য, তমঃ, রজঃ-র প্রতীক ত্রিফল। বজ্র মা দুর্গার হাতের অশনি দৃঢ়তা ও সংহতির প্রতীক। গদা অনুগত্য, ভালোবাসা ও ভক্তির প্রতীক। তলোয়ার বুদ্ধির ধারের প্রতীক। দেবীর হাতে থাকা ঘন্টার ধ্বনী অসুরদের তেজকে দুর্বল করে। পদ্ম শুভ শক্তির বার্তা দেয়। আর সাপ শুদ্ধ চেতনার প্রতীক।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর সামগ্রী রাখতে মেনে চলুন বাস্তু মত, জেনে নিন কোন দিকে কী রাখা শুভ
আরও পড়ুন- দেবী দুর্গার অষ্টত্তরো শতনাম, যা কাটাবে জীবনের সকল ঝঞ্ঝাট ও সমস্যা
আরও পড়ুন- কিভাবে হয়েছিল দেবী দুর্গার জন্ম? জেনে নিন দেবীদুর্গা সম্পর্কিত এই বিষয়গুলো