সংক্ষিপ্ত
- কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রকৃষ্ট সময় প্রদোষকাল
- প্রদোষ থেকে নিশীথ অবধি তিথি থাকলেও সেই প্রদোষেই পুজো বিহিত হয়
- আমাদের মনে রাখতে হবে সবই নির্ভর করছে ঈশ্বরের দৈব কৃপার ওপর
- দেবীপক্ষের পনেরো দিন প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ১৩ বার গায়ত্রীমন্ত্র
বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রথা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় এবং সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। লক্ষণীয় বিষয় হল-খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। জ্যোতিষশাস্ত্র বা গ্রহরা অর্থভাগ্যের ব্যাপারে কি বলছে। সব গ্রহই অর্থ দিতে পারে যদি সে শুভ ভাবে থাকে। বিশেষত বৃহস্পতি, শুক্র, শনি ও রাহুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে সবই নির্ভর করছে ঈশ্বরের দৈব কৃপার ওপর।
সম্পদবৃদ্ধিতে লক্ষ্মী দেবীর কৃপাদৃষ্টি পাওয়ার কিছু পদ্ধতি-
আরও পড়ুন- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নির্ঘন্ট, জেনে নিন পুজোর তারিখ ও সময়
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন সংসারের শ্রীবৃদ্ধি ফেরাতে পুজোর স্থানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ। এর ফলে সংসারের উন্নতি বৃদ্ধি পায়।
দেবীপক্ষের পনেরো দিন প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ১৩ বার গায়ত্রীমন্ত্র পাঠ করুন, এতে যে কোনও বাঁধা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
কোজাগরী পুজোর দিন গঙ্গায় স্নান করলে বহুজন্মের পূণ্য অর্জন লাভ করা যায়।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর দরিদ্রদের সাধ্য মত কিছু দান করুন।
পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর উপবাস ভঙ্গের জন্য যখন খেতে বসবেন, খাওয়ার আগে ভালো করে পা ধুয়ে তারপর খেতে বসুন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন একটি বা তিনটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে কিছু দান করতে পারেন কুমারী পুজোর মত। তাহলে ভালো ফল পাওয়া যায়।