সংক্ষিপ্ত

  • আগমনির বার্তা দিতে ফটোশ্যুট
  • দুর্গা সেজে ফটোশ্যুট
  • ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে এই কনসেপ্ট
     

মহালয়া দিয়ে শুরু হয়ে গেল দেবীপক্ষের। কৈলাশ থেকে মর্তে আসতে মাও তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে  রওনা দিলেন বলে। বাতাসে এখন চারদিকে খালি পুজো পুজো গন্ধ। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো উদ্ধোধনও। আর এসবের মধ্যেই আমাদের চারপাশে  ক্রমেই বেড়ে চলেছে জ্যান্ত দুর্গাদের সংখ্যা।

পুজো মানেই শরতের  নীল আকাশে খেলে যাওয়া সাদা মেঘের দল।  পুজো মানেই কাশ ও শিউলি ফুল। আর এই নীল আকাশ ও কাশফুলকে  পিছনে রেখে অনেক তরুণীই পছন্দ করেন  নিজেকে মা দুর্গা সাজিয়ে ফটোশ্যুট করতে। বর্তমানে এটা প্রায় ট্রেন্ডের পর্যায়ে পৌছে গেছে। আর সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ছে  সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুর্গাপুর শহরের কিছু তরুণীরাও  মাতলেন আগমনির  ফটোশ্যুটে। 

কেবল যুবতীরা নয়, ছোট ছোট শিশু থেকে বাড়ির গৃহবধূ, সকলেই চাইছে  নিজেকে ত্রিনয়নী রূপে সাজাতে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই ঝোঁক। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন মেকআপ আর্টিস্টরা তাই এখন ভীষণ ব্যস্ত। তাঁদের হাতের নিখুঁত ছোঁয়াতেই শহরের মেয়েরা হয়ে উঠছে শক্তিরূপেন সংস্থিতা। 

পুজোর বার্তা দিতে নিজেকে উমার সাজে সাজিয়েছেন দুর্গাপুর শহরের তরুণী দেবলীনা ঘোষ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই  হু হু করে বেড়েছ লাইকের সংখ্যা। পরিবার থেকে বন্ধুবান্ধব সকলেরই প্রশংসা পেয়েছেন দেবলীনা।  

ফটোশ্যুট করে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেতে এখন অনেকেই পছন্দ করেন। প্রিওয়েডিং থেকে বেবিশাওয়ার, এখন সবকিছুতেই চল রয়েছে ফটোশ্যুটের। সেই হাওয়া লেগেছ দুর্গাপুজাতেও। তাই মা মর্তে আসার আগেই তার আগমনির   বার্তা যেন দেয় এইসব ফটোশ্যুট। তবে মা দুর্গা সাজতে গেলে গোল মুখ ও বড় বড় চোখ থাকলে বেশি ভালো হয় বলে মত অধিকাংশ মেকআপ আর্টিস্টের। যদিও বর্তমান প্রজন্ম পুজোর আগে  ডায়েট করে রোগা হতেই পছন্দ করে।