সংক্ষিপ্ত

উল্টোডাঙা সংগ্রামী সংঘের পুজো এবার মূল্যবোধের পুজো। কারণ এই পুজোর থিম হলে 'মূল্যবোধ'। উদ্যোক্তাদের মূল লক্ষ্যই হল পুজোর মণ্ডপে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের তুলে ধরা। আর সেই কারণেই এদের পুজো মণ্ডপে ঠাঁই পেয়েছে কৃষক, তাঁতী এই জাতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। 

উল্টোডাঙা সংগ্রামী সংঘের পুজো এবার মূল্যবোধের পুজো। কারণ এই পুজোর থিম হলে 'মূল্যবোধ'। উদ্যোক্তাদের মূল লক্ষ্যই হল পুজোর মণ্ডপে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের তুলে ধরা। আর সেই কারণেই এদের পুজো মণ্ডপে ঠাঁই পেয়েছে কৃষক, তাঁতী এই জাতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। তাঁর এরা মানুষের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেন। কিন্তু সর্বদাই বঞ্চিত হল নিজেদের প্রাপ্য থেকে। পুঁজিকেন্দ্রেক সমাজে এরা আজ ব্রাত্য। এই পিছিয়ে পড়া মানুষদেরই গল্প বলবে উল্টোডাঙা সংগ্রামী সংঘের পুজো মণ্ডপ। এক উদ্যোক্তার কথায় এদের জন্যই সকলের জীবন চলছে। কিন্তু এরাই আর সমাজে ব্রাত্য। যে কৃষক চাল উৎপাদন করেন তাঁর ঘরেই হাঁড়ি চড়ে না। যে তাঁতী কাপড় তৈরি করেন, তাঁর পরিবারের হয়তো পুজোর সময় নতুন জামা জোটে না। এই বৈষম্যের কথাই তারা তুলে ধরতে চাইছেন, তাঁদের পুজো মণ্ডপে । কারণ দেবী দুর্গার কাছে কোনও বৈষম্য নেই। সকলেই তাঁর সন্তান। 

মণ্ডপ পরিকল্পনায় রয়েছেন  শিল্পি অরিন্দম দাস। তিনি তৈরি করছেন প্রতিমা। বর্তমানে চূড়ান্ত ব্যস্ত তিনি। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারই মধ্যে পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হবে। মণ্ডপ জুড়েই শুধুই ব্যস্ততা। ব্যস্ত পুজো কমিটির সদস্যরাও। মণ্ডপ জুড়েই এখন কাঠ আর পেরেকের ঠুকঠাক আওয়াজ। আর রয়েছে রঙের গন্ধ। প্রতিমা শিল্পি থেকে মণ্ডপ শিল্পি সকলেই ব্যস্ত হাতে মণ্ডপ সজ্জায় ব্যস্ত। প্রবল গরমেও বিরাম নেই তাদের কাজের। হাঁফ ছাড়ারও ফুরসত নেই। 

উল্টোডাঙা সংগ্রামী সংঘের পুজো এবার ৬০ বছরে পা রাখবে। উত্তর কলকাতার প্রাচীনতম পুজোগুলির মধ্যে একটি। আর সেই জন্য বিশেষ আয়োজন। তাই পুজো কমিটি থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যস্ততা অন্যবারের তুলনায় একটু বেশি। সকলের প্রায় একই কথা- দুই বছর পুজো তেমনভাবে জমেনি , তাই এবার বাড়তি আয়োজন করা হয়েছে। এবার যাতে দর্শকরা সুষ্ঠুভাবে ঠাকুর দেখতে পারে তার দিকেও জোর দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। দর্শকদের যাতে তাদের প্রতিমা ও মণ্ডপ ভালো লাগে তারজন্য সবরকম চেষ্টা করছেন তাঁরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন প্রতিমা দর্শনে যাতে দর্শকদের কোনও সমস্যা না হয় তার দিকেও মন দিয়েছেন। কারণ দর্শকই তাঁদের লক্ষ্মী। 

গত দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য পুজো তেমন জমেনি। এবছর করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে পুজো উদ্যোক্তারা দর্শক বা ভক্তদের জন্য যে বার্তা দিয়েছেন তা হল এখনও সাবধানে চলতে হবে। করোনাকে পুরোপুরি হারানো যায়নি। আর সেই কারণে করোনাবিধি মানা জরুরি। মাস্কের ব্যবহার করলে ভাল হয় বলেও তাঁরা মনে করছেন।