সংক্ষিপ্ত

মুদিয়ালি ক্লাবের  নিজস্ব ট্রাডিশন রয়েছে। মন্ডপ সজ্জা নান্দনিকতার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়। এই ক্লাব কখনও বিষয়ভিত্তিক বা থিম ভিত্তিক পুজো করে না।

ছকভাঙা থিমের রেষারেষি নেই। থিমের কচকচি থেকে অনেক দূরে থেকেও দৃষ্টিনন্দন পুজো উপহার দেয় মুদিয়ালি ক্লাব। সে পুজোয় মেশে নান্দনিকতা। বিষয়কে ছাপিয়ে সেখানে জায়গা পায় সৌন্দর্য। মুদিয়ালি পার্কে ছকভাঙা পুজোর অন্যরকম গল্প, জোরকদমে মায়ের আবাহনের প্রস্তুতি চোখে পড়ল।

নিজের নান্দনিক সৌন্দর্যে প্রতিবছর দর্শকদের মুগ্ধ করে দেয় মুদিয়ালি ক্লাব। এবারও চমক দিতে প্রস্তুত পুজো উদ্যোক্তারা। দক্ষিণ কলকাতার মুদিয়ালি ক্লাব পুজো কমিটি প্রতিবছরই নজর কাড়ে মন্ডপ ও আলোকসজ্জায়। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। 

থিম সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা বলেন মুদিয়ালি ক্লাবের  নিজস্ব ট্রাডিশন রয়েছে। মন্ডপ সজ্জা নান্দনিকতার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়। এই ক্লাব কখনও বিষয়ভিত্তিক বা থিম ভিত্তিক পুজো করে না। মুদিয়ালি ক্লাবের এবছর ৮৮তম বর্ষ। শিল্পী বলেন এবছর জৌলুস থাকবে প্যান্ডেল,  প্রতিমার ট্রাডিশন বজায় থাকবে। উৎসবের ষোলোয়ানা মেজাজ ধরা থাকবে প্যান্ডেলের সাজে। সেরা ঠাকুর ও সেরা প্যান্ডেলের শিরোপাই লক্ষ্য। 

এবারের প্যান্ডেলের ব্যবহারে বিভিন্ন রংয়ের কটন ফিতে ব্যবহার করা হয়েছে, সেই সঙ্গে প্যান্ডেলে নজর কাড়বে বাংলা একদম নিজস্ব শোলা শিল্পের নানা কাজ। শোলার ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে গোটা মন্ডপ। এবার অলংকরণে অভিনবত্ব থাকছে। প্রতিমার সাজসজ্জায় থাকছে সাবেকিয়ানা। বাংলার আলপনা ব্যবহার করা হয়েছে মন্ডপ ও প্রতিমার মধ্যে সাযুজ্য আনতে। কাগজ, শোলা ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিমার সাজে। সেই সঙ্গে থাকছে আসল বেনারসির ওপর আলাদা জড়ি দিয়ে কাজ। 

গত তিন বছর করোনার কবলে সারা বিশ্ব জর্জরিত। এই বছর কোথাও তাই একটু হলেও স্বস্তির শ্বাস পেয়েছে শহর কলকাতা। কারণ সেই অর্থে করোনার প্রকোপ যেমন নেই, তেমনই ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনে বল পেয়েছে মানুষ। গত তিন বছরের শুধু হারানোর যন্ত্রণা ভুলে ২০২২ সালের দুর্গোৎসব মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠুক, চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে অবশ্যই বিধি মেনে, সাবধানতা অবলম্বন করে। তবে সর্বাঙ্গীণ সার্থক হবে মায়ের আরাধনা। সেই লক্ষ্যেই পুজো প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মুদিয়ালি ক্লাব পুজো কমিটি।