সংক্ষিপ্ত
শিল্পী কৃষানু পালের ভাবনায় উঠে এসেছে সমাজসেবী সঙ্গের ৭৬ বছরের ইতিহাস। শুধু মণ্ডপ সজ্জায় নতুনত্বের ছোঁয়াই নয়, নয়ের দশকের নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে এবার সারদীয়ায় সমাজসেবী সঙ্ঘের পক্ষ থেকে থাকছে, পুজোর গানও।
ফিরে দেখা ইতিহাস, এই ভাবনাকে পাথেয় করেই সেজে উঠেছে সমাজসেবী সঙ্ঘর এবছরের দুর্গাপুজার মণ্ডপ। ২০২২ সালের দুর্গাপুজোয় কলকাতার এই অন্যতম নামী পুজোর থিম 'সেবিছে ঈশ্বর'। শিল্পী কৃষানু পালের ভাবনায় উঠে এসেছে সমাজসেবী সঙ্গের ৭৬ বছরের ইতিহাস। শুধু মণ্ডপ সজ্জায় নতুনত্বের ছোঁয়াই নয়, নয়ের দশকের নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে এবার সারদীয়ায় সমাজসেবী সঙ্ঘের পক্ষ থেকে থাকছে, পুজোর গানও।
সালটা ১৯৪৬, কলকাতা শহরে জ্বলছে অশান্তির আগুন। সাম্প্রদায়িকতার আঁচে পুড়ছে তিলত্তমা। সেই সময় লীলা রায়, শরৎ বোস প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে তহবিল সংগ্রহ করেন। সেই থেকেই জন্ম হয় সমাজসেবী সঙ্ঘের। সেই বছরই প্রথম দুর্গা পুজা করে সমাজসেবী সঙ্ঘ। ক্লাবের ৭৭ তম বর্ষে এই ইতিহাসই উঠে এসেছে পুজোর থিমে। কাকতালীয়ভাবে ৭৬ বছর আগে ১৯৪৬ সালেও অক্টোবর মাসের এক তারিখে ছিল ষষ্ঠী, এই বছর ২০২২ সালে আবারও অক্টোবর মাসের এক তারিখেই ষষ্ঠী পড়েছে। তাই ইতিহাসের পাতা উলটে ফেলে আসা সময়কে ফিরে পেতেই এই অভিনব চেষ্টা সমাজসেবী সঙ্ঘের। শুধু তাই নয় এই থিমের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। পাশাপাশি বাংলার দুর্গা পুজোর পুরোন স্বাদকে ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা করছি।
ক্লাবের সদস্য অরিজিৎ বাবু জানিয়েছেন, ২৭ তারিখ অর্থাৎ দ্বিতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে পুজোর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উদ্বোধন করবেন এই পুজোর।
মণ্ডপ ও প্রতিমা ছাড়াও থাকছে আরও এক বিশেষ চমক। নয়ের দশকের নস্টালজিয়ার পাশাপাশি সমাজসেবী সঙ্ঘ ও আশা অডিওর উদ্যোগে ফিরছে সারদ অর্ঘ্য বা পুজোর গান। এককালে পুজো মানেই ছিল রাহুল দেব বর্মণ, কিশোর কুমারের গলায় পুজোর গান। কালে নিয়মে হারিয়ে যায় সেই গানও। ২০২২ সালে হারিয়ে যাওয়া এই সারদ অর্ঘ্য ফিরিয়ে আনছে কলকাতার এই ক্লাব। ১৩ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করছে এই গান। কুমার শানু, অমিত কুমার ও অলকা ইয়াগ্নির গলায় মোট তিনটি গান সারদ অর্ঘ্য হিসাবে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন অরিজিৎবাবু।
আরও পড়ুন - বেহালা ফ্রেন্ডস-এর এবছরের থিম ‘দুর্গাযাপন’, জেনে নিন এর অর্থ কী, কী রয়েছে পুজোর বিশেষত্ব