সংক্ষিপ্ত
শিবমন্দিরের পুজোর ৮৬ তম বর্ষে সেই বিশ্বাসকেই তুলে ধরছে ক্লাব কমিটি। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি এই নশ্বর জীবনের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। তিনিই মানুষের পাপ পুণ্য ন্যায় নীতির বিচারক। তাঁর আরাধনায় মানুষ তাঁকে কাছে পেতে চায়, আঁকড়ে রাখতে চায় বুকের কাছে। পুজো যায়-পুজো আসে।
স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব’। এই বিশ্বাসকে অবলম্বন করেই মানুষ এগিয়ে যায় আগামীর দিকে। সেই বিশ্বাসকে বুকে আঁকড়ে এই বছরের মাতৃবন্দনায় সামিল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজো কমিটি শিবমন্দির।
শিবমন্দিরের পুজোর ৮৬ তম বর্ষে সেই বিশ্বাসকেই তুলে ধরছে ক্লাব কমিটি। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি এই নশ্বর জীবনের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। তিনিই মানুষের পাপ পুণ্য ন্যায় নীতির বিচারক। তাঁর আরাধনায় মানুষ তাঁকে কাছে পেতে চায়, আঁকড়ে রাখতে চায় বুকের কাছে। পুজো যায়-পুজো আসে। এই যাতায়াতের মধ্যেই মানুষের বিশ্বাস টিঁকে থাকে যে সেই পরম শক্তি রয়েছেন। সেই বিশ্বাস নিয়ে জীবনের পথ চলা। মানুষ মানত করে, প্রার্থনা করে আর বিশ্বাস করে যে তা শুনতে পান ঈশ্বর। দুর্দিনে সে আশা করে ঈশ্বর তাঁকে এনে দেবে সুদিন।
এই বিশ্বাস নিয়ে করোনার সঙ্গে লড়েছিল মানুষ। জয় হয়েছিল বিজ্ঞানের। করোনাকে হারিয়ে আজ অনেকটা সুস্থ এই পৃথিবী। সেই ছকভাঙা পুজোর অন্যরকম গল্প, জোরকদমে মায়ের আবাহনের প্রস্তুতি চোখে পড়ল শিবমন্দিরে।
গত তিন বছর করোনার কবলে সারা বিশ্ব জর্জরিত। এই বছর কোথাও তাই একটু হলেও স্বস্তির শ্বাস পেয়েছে শহর কলকাতা। কারণ সেই অর্থে করোনার প্রকোপ যেমন নেই, তেমনই ভ্যাকসিনকে হাতিয়ার করে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনে বল পেয়েছে মানুষ। গত তিন বছরের শুধু হারানোর যন্ত্রণা ভুলে ২০২২ সালের দুর্গোৎসব মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠুক, চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে অবশ্যই বিধি মেনে, সাবধানতা অবলম্বন করে। তবে সর্বাঙ্গীণ সার্থক হবে মায়ের আরাধনা। সেই লক্ষ্যেই পুজো প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিবমন্দির সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।