সংক্ষিপ্ত
টলিউডে দেবীবরণের ঢল। কেউ নিজের ভিডিয়ো মিউজিক দিয়েই অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ বা নিজে বিসর্জনের ঢাকের তালে নেচে নাচিয়েছেন সব্বাইকে। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি মঙ্গলকামনাও করেছেন সবার। তাঁরা মিমি চক্রবর্তী, পাওলি দাম, অপরাজিতা আঢ্য
য়ো দিয়েই শুভ বিজয়া সারলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। আগের রাতে তাঁর নাচ ভাইরাল। দশমীতে তাঁর সম্প্রীতির নতুন ভঙ্গিও পছন্দ নেটবাসীদের। ইনস্টাগ্রামে দেখা যাচ্ছে, উজ্জ্বল গোলাপি পাড়, তসররঙা শাড়িতে মিমি সুন্দরী। এ বছরের মতো শেষ পুষ্পাঞ্জলি দিচ্ছেন দেবী প্রতিমাকে।
তার পরেই তিনি লাল পাড় সাদা শাড়িতে সনাতনী নারী। ঘাড়ের কাছের হাতখোঁপায় জুঁই ফুলের মালা জড়ানো। নিজে ঢাক বাজাতে বাজাতে গেয়েছেন, ‘বল দুর্গা মাঈ কি জয়’। তার পরেই জোড়হাতে সবার উদ্দেশ্যে প্রণাম জানিয়েছেন। মিমির এই রিল দেখে মুগ্ধ তাঁর নানা বয়সের অনুরাগীরা।
মিমির মতো কোনও রিল বানাননি টলিউডের আর এক অভিনেত্রী পাওলি দাম। বদলে দশমীতে তিনিই মাতলেন ধুনুচি নাচে। অংশ নিলেন দেবীবরণ, সিঁদুরখেলায়। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের এক আবাসনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাওলি এ দিন পুরোপুরি বাঙালিনী। লাল পাড় ডুরে শাড়ি বেছে নিয়েছেন বলিউড-টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সঙ্গে চওড়া শাঁখা-পলা, সোনার গয়না। খোলা চুল, অল্প রূপটানে মোহময়ী। এ ভাবেই তিনি সেখানকার বাকি মহিলা আবাসিকদের সঙ্গে মেতে ওঠেন দেবীবরণে। তত ক্ষণে সিঁদুরে মাখামাখি গোটা মুখ। কখনও ধুনুচি নিয়ে কখনও ঢাকের তালে নেচেছেন পাওলি। নাচিয়েছেন সঙ্গিনীদেরও।
পাওলির নাচের ছন্দ ছড়িয়ে পড়েছে অন্যদের মধ্যে। তাঁরাও তাল মিলিয়েছেন নায়িকার সঙ্গে। পুজোর চারটে দিনই কলকাতায় ছিলেন পাওলি। শহরের বিভিন্ন প্রথম সারির মণ্ডপে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ষষ্ঠী থেকে দশমী তিনি শাড়িতেই শারদ সুন্দরী। রাতে ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিও করেছেন। আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, প্রতিমা দর্শন, উদ্বোধন— এই ছিল তাঁর চার দিনের রোজনামচা।
পাওলির পথে হেঁটেছেন ছোট পর্দার ‘লক্ষ্মী কাকিমা’ অপরাজিতা আঢ্যও। জি বাংলা চ্যানেলের ফেসবুক পেজে পাশে দেবশঙ্কর হালদারকে নিয়ে দর্শকদের বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। বাস্তবে? বেহালায় বাড়ির পুজোয় সিঁদুর খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরনে লাল রঙের ঢাকাই জামদানি। চুল তুলে বাঁধা। দেবীবরমের আগে অভিনেত্রী নিজেকে সাজিয়েছিলেন দেবীর মতো করেই। রকমারি সোনার গয়নায়। নাকে টানা নথ। দেবীবরণে পানপাতায় মুখ মোছান দেবীর। সিঁথি রাঙিয়ে দেন সিঁদুর। মুখমিষ্টির পরে প্রতিমার কানে কানে আমন্ত্রণ, ‘আবার এসো মা’। সঙ্গিনীদের দেওয়া সিঁদুরের ছোঁয়ায় লালিমা ছড়িয়েছে তাঁর গালে, কপালে, চুলে।
এই সাজেই তিনি অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘নবমীর রাত এলেই মনখারাপ সবার। ঘরের মেয়ে পরের বাড়ি। আবার এক বছরের জন্য অপেক্ষা। এই প্রতীক্ষাই আমাদের করতে হবে হাসিমুখে।’’ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সবার সুস্থতা, সমৃদ্ধি, মঙ্গল কামনাও করেন।