সংক্ষিপ্ত

দুর্গাপূজা উপলক্ষে পট্টনায়েক ওড়িশার পুরী সমুদ্র সৈকতে "শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায়" বার্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফল বসিয়ে দেবী দুর্গার একটি বালি ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। পট্টনায়েক কমলা, আপেল, আঙ্গুর, কলা, নারকেল, শসা, আতা এবং আনারসের মতো বারোটি বিভিন্ন ফল স্থাপন করে দেবী দুর্গার একটি সাত ফুট উঁচু বালির ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। 

দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে, প্রখ্যাত বালি শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক মা দুর্গার বিশাল বালি শিল্প মূর্তি তৈরি করেছেন। তিনি দেবীর প্রতি বালি শিল্পের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। অন্যান্য বারের মত এই মূর্তি অবাক করেছে আপামর মানুষকে। এবার ফল দিয়ে বালিতে জাদু তৈরি করেছেন শিল্পী। তিনি ১২টি বিভিন্ন ফল বসিয়ে মা দুর্গার মুখ তৈরি করেছেন। এই সুন্দর ভাস্কর্যটি পুরী সমুদ্র সৈকতে একটি ধর্মীয় আভা প্রতিফলিত করেছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে পট্টনায়েক ওড়িশার পুরী সমুদ্র সৈকতে "শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায়" বার্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফল বসিয়ে দেবী দুর্গার একটি বালি ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। পট্টনায়েক কমলা, আপেল, আঙ্গুর, কলা, নারকেল, শসা, আতা এবং আনারসের মতো বারোটি বিভিন্ন ফল স্থাপন করে দেবী দুর্গার একটি সাত ফুট উঁচু বালির ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। তিনি প্রায় সাত টন বালি ব্যবহার করেছেন এবং এটি সম্পূর্ণ করতে পাঁচ ঘন্টা সময় নিয়েছেন।  

এই মূর্তি তৈরিতে সুদর্শন পট্টনায়েকের সঙ্গে হাত মেলান বালি আর্ট ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছর পট্টনায়েক পুজোর সময় বালিতে আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেন। তিনি তার অনন্য শিল্প ফর্মের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। শিল্পী বলেন সবাইকে "শুভ দুর্গাপূজার" শুভেচ্ছা।

এখনও পর্যন্ত পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত সুদর্শন সারা বিশ্বে ৬০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক বালি আর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশের জন্য অনেক পুরস্কার জিতেছে।  তিনি সর্বদা তার বালি শিল্পের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন যেমন গ্লোবাল পিস, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯, প্লাস্টিক দূষণ, জল সংরক্ষণ, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বার্তা এবং তামাক বিরোধী বার্তা ইত্যাদি। সামাজিক সচেতনতার বিষয়ে তার বালি শিল্প জাতিসংঘের পরিবেশ এবং WHO ইত্যাদি দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।