লোকসভা নির্বাচনে অভাবনীয় ফলাফল। কার্যত রাজ্যজুড়ে গেরুয়া ঝড়। দিল্লীতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম একজন সৈনিক যে তিনিই, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার কিছুটা ভালো ফল হয়েছে কংগ্রেসের। তবে এবারও দল বা জোট হিসেবে সরকার গঠন করার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস।
আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদে এনডিএ-র নেতা নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর শপথ গ্রহণের দিন ঠিক হয়ে গেল। দেশ-বিদেশের অতিথিরা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন।
শুক্রবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিজেপির সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এদিনই এনডিএ-র বৈঠকও রয়েছে।
টিভিতে ভোটের খবর শুনছিলেন তিনি রাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ পরাশর। কিন্তু একের পর এক বিজেপি প্রার্থীর হারের খবরে হতাশ হয়েছিলেন।
নীতিশ আর চন্দ্রবাবু- দুই রাজনীতিবিদের ভরসায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন মোদী। সুযোগ বুঝে তাঁরাও দর হাঁকাতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানেই দলের সব সাংসদদের হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে যোগ দিতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এনডিএ-র শরিক দলগুলির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এনডিএ-র শরিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলেও, পদে পদে সমস্যায় পড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র আসন কমলেও, সরকার গঠন করার মতো আসন পায়নি ইন্ডিয়া জোট। ফলে টানা তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ।