- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- SIR হলে এদের কোনও চিন্তাই নেই! কমিশনের নির্দেশে এদের দিতে হবে না একটিও নথি
SIR হলে এদের কোনও চিন্তাই নেই! কমিশনের নির্দেশে এদের দিতে হবে না একটিও নথি
ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রক্রিয়া। কিন্তু এই অবস্থায় অনেকেই চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন কী কী নথি দিতে হবে। তবে এজেক

ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন
ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা SIR নিয়ে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে প্রক্রিয়া। কিন্তু এই অবস্থায় অনেকেই চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন কী কী নথি দিতে হবে? তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে এদের কোনও নথি দিতে হবে না। আবার এদের দিতে হবে ১২টি নথির যে কোনও একটি।
১১টি নথি
নির্বাচন কমিশন ১১টি নথির কথা বললেও আধার কার্ডও গ্রহণ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তবে এই শ্রেণীর মানুষদের কোনও কোনও নথি দিতে হবে না। শুধুমাত্র ম্যাপিং করতে হবে।
কোনও নথি লাগবে না
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে রয়েছে তাদের কোনও নথি লাগবে না। শুধু তাই নয়, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যাদের বাবা -মায়ের নাম রয়েছে তাদেরও কোনও নথি দিতে হবে না। তবে নির্বাচন কমিশনের ওয়াবসাইটে ঢুকে ম্যাচিং প্রক্রিয়াটি সেরে নিতে গবে। এটি ভোটাররা নিজেরাও করে নিতে পারবেন.
২০০২ সালের ভোটার লিস্ট
২০০২ সালের ভোটার লিস্ট চলতি বছর এসআইআর-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০০২-০৩ সালেই এই রাজ্যে শেষবার এসআইআর হয়েছিল। সেই বছরের ভিত্তিতেই এই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া চলবে। আর সেই কারণেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের আর কোনও নথি দিতে হবে না।
নথি দিতে হবে
২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যাদের নাম নেই বা যাদের বাবা ও মায়ের নাম নেই তাদের ১১টি নথি জমা দিতে হবে।
১১টি নথি হল- ১। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার বা রাাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার কর্মী বা পেনশন প্রাপকের পেনশন পেমেন্ট অর্ডার।
২।০১.০৭.১৯৮৭ - এই তারিখের আগে সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, ভারতীয় জীবন বিমা নিগম বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা প্রদত্ত যে কোনও পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র বা নথি।
৩। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র বাা বার্থ সার্টিফিকেট।
৪। পাসপোর্ট
৫। স্বীকৃতি পর্যদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
৬। রাজ্য সরকার প্রদত্ত স্থায়ী বাসস্থানের শংসাপত্র
৭। বনভূমি অধিকার শংসাপত্র
৮। সরকার প্রদত্ত অনগ্রসর সম্প্রদায়, তফশিলিজাতি, উপজাতি, বা অন্য কোনও জাতিগত শংসাপত্র।
৯। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি (যাদের হয়েছে)
১০। রাজ্য বা স্থানীয় কর্ত়ৃপক্ষের দেওয়া পরিবারপঞ্জি বা ফ্যামেলি রেজিস্টার।
১১। জমি বা বাড়ির সরকারি শংসাপত্র বা জমি বা বাড়ির দলিল।
তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে আধার কার্ডও নথি হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

