শাসক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে উত্তাল উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে। বিধানসভা নির্বাচনে যে কোচবিহার গুলিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও গুলি চলল সেই কোচবিহারে।
পঞ্চায়েত ভোটে মাত্রা ছাড়া সন্ত্রাস বাংলায়। মুর্শিদাবাদে খুন তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। কালিয়াচকে খুন এক। জলপাইগুড়িতে আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনসভয় পৌঁছে যায় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তারপর রাজ্যপালের কনভয় যায় ব্যারাকপুরে।
রক্তপাত, প্রাণহানি, বন্দুক, গুলি আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ভারী বুটের শব্দ। সেসব ছাপিয়েই শনিবার ৮ই জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের দিন যাতে কোনও রকমের কোনও অশান্তি না হয় সেদিকেই কড়া নজর রাখছে প্রসাশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচনে কমিশের চাহিদা মত রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এক কোম্পানিতে ৮০ জন করে জওয়ান থাকবে বলে যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ৬৫ হাজার। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। রাজ্য পুলিশের সংখ্যা ৭০ হাজার। সব মিলিয়ে রাজ্যে হাতে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে ১৩৫০০০ । তাই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না।
সব কটি জেলার মূল দাবি গ্রামীণ রাস্তার হাল ফেরানো, পরিশ্রুত পানীয় জল, পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমানো, নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান, সেচ কাঠামোর উন্নয়ন, একশো দিনের কাজ বা বিকল্প কাজের ব্যাবস্থা করা, আবাস যোজনায় বাড়ি অনুমোদন ও বোমা -বন্দুক উদ্ধারে জোর।
নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নতুন প্রস্তব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর তথা বিএসএফ-এর আইজি। কোনও বুথে হাপ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারবে না।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই বুথে বুথে পৌঁছাতে শুরু করেছে ভোটকর্মীরা।৬৩ হাজারের বেশি আসনে একই সঙ্গে ভোট গ্রহণ হবে
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই সন্ত্রাসে উত্তপ্ত গ্রাম বাংলা। কোচবিহার, নদিয়া আর ঝাড়গ্রামে ভোট সন্ত্রাসের ছবি সামনে আসছে ইতিমধ্যে।
কুলপির দক্ষিণ গাজিপুরে ওই কংগ্রেস কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার প্রচারের সময় হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারে ২২টি জেলার মোটি ৬৩২২৯টি আসনের মধ্যে ৬২৩৮টি, ৯৭৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৫৯টি এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।