সংক্ষিপ্ত
গোটা দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আর আগামী ১ জুন, রাজ্যে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। আর পশ্চিমবঙ্গে শনিবার হয়ে গেল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভোট দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের নন্দনায়কে টোটোতে চেপে ভোট দিতে যান তিনি।
গোটা দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আর আগামী ১ জুন, রাজ্যে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। আর পশ্চিমবঙ্গে শনিবার হয়ে গেল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ভোট দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের নন্দনায়কে টোটোতে চেপে ভোট দিতে যান তিনি।
সবথেকে বড় বিষয়, বাম আমলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী। এখনও বকলমে এটি তাঁর গড় বলেই পরিচিত। নন্দীগ্রামের বিধায়কও তিনিই। সেই নন্দীগ্রামের নন্দনায়ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন পদ্মফুলে বোতাম টিপলাম, তখন দেখি সেটি ডেবে গেছে। প্রায় ৩ ঘন্টা হয়ে গেছে, সব পদ্মে মারছে। পদ্মের বাইরে কোনও কথাই নেই। ওদের ক্যাম্পে ৪টে লোক বসে বসে চোখ মারছে। ভোটের পর আনন্দে বোমা ফাটাব আমরা।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও যোগ করেন, “নিহত রথিবালা আড়ির ছেলে সঞ্জয় আড়ি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তপসিলি পরিবারের আরও এক সদস্যকে খুন করেছে তৃণমূল। খুনিকে আমরা আদালতে নিয়ে যাব। চোরদের পক্ষে কেউ নেই। ভোট সরাসরি হচ্ছে।”
নন্দীগ্রামে কার্যত সম্মানের লড়াই। বরাবরই এই অঞ্চলে দাপট রয়েছে অধিকারী পরিবারের। নির্বাচন মানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নিঃসন্দেহে মর্যাদার লড়াই। লিড বাড়াতেই হবে, নাহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে রাজনৈতিক মহলেও।
তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রামে প্রায় ২০০টি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। সেইসঙ্গে ৬৩টি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকার বেশিরভাগ বুথে এবার আমরা এজেন্ট দিয়েছি। যা আমি ২০২১ সালেও পারিনি। কমপক্ষে ৩০ হাজার ভোটে আমরা নন্দীগ্রাম থেকে লিড পাব।”
শুভেন্দু অধিকারীর গলায় একেবারে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল। মূলত, তমলুক লোকসভার অন্তর্গত এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে, তমলুক থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আড়াই লক্ষ ভোটে জেতাবেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই নন্দীগ্রাম থেকে লিড না নিয়ে কোনওভাবেই পিছু হটছে না বিজেপি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।