সংক্ষিপ্ত
- এদিন সকাল থেকেই বারবার অনিয়মের অভিযোগ করছিলেন মদন মিত্র।
- অভিযোগ ছিল ৩৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে মারধর করা হচ্ছে।
- ৪২ নম্বর বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি স্বয়ং প্রার্থীকেই।
ভাটপাড়া উপনির্বাচনকে ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নিল কাঁকিনাড়া। সরাসরি বোমা ছোঁড়া হল মদন মিত্রের গাড়ি লক্ষ্য করে। অল্পের জন্যে প্রাণে বাঁচলেন তৃণমূলের নেতা তথা ভাটপাড়া উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী। বেশ কিছুদিন ধরেই মদন মিত্র বারবার অভিযোগ করছিলেন তাঁর প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর আশঙ্কা যে কতটা সত্যি তা প্রমাণ পাওয়া গেল এদিন নির্বাচন চলাকালীন সময়েই। মদন মিত্র গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ল স্থানীয় দুষ্কৃতীরা।
এদিন সকাল থেকেই বারবার অনিয়মের অভিযোগ করছিলেন মদন মিত্র। অভিযোগ ছিল ৩৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্টকে মারধর করা হচ্ছে। ৪২ নম্বর বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি স্বয়ং প্রার্থীকেই।
রাজ্য জুড়ে যখন লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা চলছে, তখনই কাঁকিনাড়া ভাটপাড়া অঞ্চলে চলছে উপনির্বাচন। সেখানে মদন মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে অর্জুন সিং এর পুত্র পবন সিং। অর্জুন সিংহ দল বদলে লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের টিকিট নেওয়ার পরেই জরুরি হয়ে পড়ে।
এদিন সকাল থেকেই ভাটপাড়ার পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। মদন মিত্র-র সঙ্গে কয়েক দফা বচসাও বাঁধে। মদন মিত্র সরাসরি অভিযোগ করেন গোলামাল পাকানোর চেষ্টা করছেন অর্জুন সিংহ। বিজেপি-বাহিনী ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ ছিল তাঁর মুখে। মদন মিত্র এলাকা ছাড়ার জন্যে তৈরি হলেই শুরু হয় বোমাবাজি। এমনকী আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বাহিনীর গাড়িতে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সমাজ মোড় হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবেই এই হামলা করিয়েছে।
ভাটপাড়ায় উপনির্বাচনে যে গণ্ডোগোল হতে পারে তা আগে থেকেই জানা ছিল। তার পরেও কেন পুলিশ তথা কমিশন আগে থেকে সমাজবিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না, প্রশ্ন উঠছে তাই নিয়েই।