সংক্ষিপ্ত
রবিবার লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর শেষ দফার ভোটগ্রহণ হল। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া মাত্র শুরু হয়েছে এক্সিট পোল সমীক্ষার ফলাফল চর্চা। উত্তরপ্রদেশ বরাবরই দিল্লির সরকার গড়ায় বড় ভূমিকা নেয়। রিপাবলিক টিভির ডাবল সমীক্ষাই বলছে মায়া-অখিলেশ জোটের আসন বাড়ছে।
অবশেষে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্বের গল্প ফুরিয়েছে। কিন্তু নটে গাছটি এখনও মুড়ায়নি। ২৩ মে চুড়ান্ত ফলাফল। তার আগে আপাতত চর্চা চলছে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে। দিল্লির মসনদে কে বসবে - এই ব্যাপারে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৮০ আসন বিশিষ্ঠ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফলাফল।
২০১৪ সালে এই রাজ্যে মোদী ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল সপা, বসপা, কংগ্রেস, আরএলডি সব দলই। এনডিএ ৮০টি আসনের মধ্যে ৭৩টি আসন দখল করেছিল। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একেরপ পর এক উপনির্বাচনে হেরেছিল বিজেপি। এই বছর সপা ও বসপা দল নিজেদের মধ্যে জোট করে নির্বাচন লড়েছে। এই রাজ্য়ে থেকেই প্রার্থী হয়েছেন সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী।
মহাগোটবন্ধন গড়ায় সপা-বসপা লাভবানই হয়েছে বলে জানাচ্ছে রিপাবলিক টিভির দুটি সমীক্ষা। একটি সমীক্ষার দায়িত্বে ছিল 'সিভোটার', আরেকটির 'জন কি বাত'। দুই সমীক্ষক সংস্থার অঙ্কে অবশ্য অনেকটাই ফারাক রয়েছে।
সিভোটার সংস্থা বলছে মহাগোটবন্ধই এখানে সবচেয়ে বেশি আসন পেতে চলেছে। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী বুয়া-ভাতিজা পেতে পারে ৪০টি আসন। আর এনডিএ জোট উত্তরপ্রদেশে পেতে পারে ৩৮টি আসন। কংগ্রেসকে গতবারের মতোই ২টি আসনে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
অন্যদিকে জন কি বাত বলছে, মহাগোটবন্ধন ১৫ থেকে ২৯টির বেশি আসন পাবে না। কংগ্রেস পেতে পারে ২ থেকে ৪টি। আর উত্তরপ্রদেশে ফের মেজরিটি থাকবে বিজেপির হাতে। পদ্ম শিবিরে এইবার আসতে পারে ৪৬ থেকে ৫৭টি আসন।