সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোটের চার পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ। যত সময় এগোচ্ছে ততই নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন তিনি। চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণের দিনই বাগদার হেলেঞ্চায় এক জনসভায় তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুললেন।
বগলে শপিং মল
এদিন হেলেঞ্চার জনসভায় তিনি বলেন রামকৃষ্ণ মিশন, অনুকুল ঠাকুর, লোকনাথ ঠাকুরদের স্মান করলেও তিনি আরএসএস-কে সম্মান করেন না। তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন 'আগে হাফপ্যান্ট পড়ে দৌড়তো এখন বগলে শপিং মল নিয়ে দৌড়চ্ছে'। তিনি অভিযোগ করেন নগদ টাকা মোটর বাইক ইত্যাদি দিয়ে বিজেপি ডোল-রাজনীতি করছে। কালো ধন পোরানোর প্রতিশ্রুতি বিজেপি রাখতে পারেনি, কিন্তু বিজেপি দলের হাতে এত টাকা এল কোথা থেকে, সেই প্রশ্নও তিনি তোলেন।
বিজেপি কা বাত শুনকে গড়বড়মে মাত যাইয়ে
বনগা লোকসভা কেন্দ্রটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। এখাীনে সভা করতে এসে মুখ্য়মন্ত্রীর মুখে এনআরসির কথাও উঠে এসেছে। তাঁর অভিযোগ এনআরসির নামে বাঙালি মুসলমানদের উপর অত্যাচার চালাতে চাইছে মোদী সরকার। তিনি একই সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের প্রতিও আবেদন করেন যাতে তাঁরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করে। বিজেপির কথায় প্রভাবিত হয়ে ভুল পথে চালিত হওয়ার, রাজনীতি না করার বিষয়ে সাবধান করেন তিনি।
মানুষকে বিশ্বাস কর, পুলিশ ভোট দেয় না
এদিন দুরাজপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালীন একটি বুথের ভিতরে ঢুকে গুলি চালাবার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন শুধু একটি ঘটনাই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে আসলে বিজেপিকে সহায়তা করার জন্যই। বুথে ঢুকে তারা বিজেপির পোলিং এজেন্টকে সাহায্য করছে, ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। নির্বাচনের দায়িত্বে এলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুথের ভিতরে ঢোকার এক্তিয়ার নেই। তিনি জানান, মানুষের উপর বিশঅবাস নেই বলেই বিজেপি এই পথ নিচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশে যদি পায় তেরো, তাহলে একেবারে হেরো
তৃণমূল সুপ্রিমো মঞ্চ থেকে অঙ্ক কষে জানিয়ে দেন বিজেপি এবার লোকসভায় হারছেই। তাঁর মতে উত্তর প্রদেশে ৮০ টি আসনের মধ্য়ে ৭৩টি পাওয়াতেই বিজেপি ২০১৪ সালে জিতেছিল যা কমে এইবার ৩ হয়ে যাবে। যার অর্থ বিজেপি এবার হেরো। কারণ দক্ষিণরতে তাঁর মতে বিজেপি কর্ণাটকে কয়েকটি ছাড়া বাকি রাজ্যগুলি থেকে কোনও আসনই পাবে না। বাংলা-ওড়িশাতেও বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না বলেই তাঁর মত।
ওম সর্বমঙ্গলা মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে
সভা শেষে মমতা বন্দোপাধ্যায় মঞ্চ থেকেই দুর্গা প্রণাম মন্ত্রে সকল ধর্মের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। তারপর তিনি মুসলিম সম্প্রদায়, তফশিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়, খ্রীষ্ট ধর্ম সকল সম্প্রদায়ের জন্য ালাদা ালাদা করেও মঙ্গল প্রার্থনা করেন।