সংক্ষিপ্ত

  • জনমত, এই এতবড় ধ্বসের মাস্টারমাইন্ড একজনই।
  • একদা তৃণমূলের সবচেয়ে বড় সংগঠক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদরের মুকুল রায়।

রাজ্য়ে অপ্রত্য়াশিত ভাল ফল করেছে বিজেপি। ১৯ টি আসনে জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। অতি বড় বিরোধীও বিজেপি এই ঝড়ের আঁচ পাননি ভোটপ্রচারের দিনগুলিতে। জনমত, এই এতবড় ধ্বসের মাস্টারমাইন্ড একজনই। একদা তৃণমূলের সবচেয়ে বড় সংগঠক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদরের মুকুল রায়। তাঁর ক্ষমতাকে কুর্ণিশ না করে যে ভুল করেছেন, সে কথা এবার স্বীকার করে নিলেন মুকুল তনয় শুভ্রাংশু। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল কাউন্টডাউন। বিজেপির প্রথম তাস কি বীজপুরের বিধায়ক? 

এ দিন শুভ্রাংশু বলেন, “আমি ভুলে গেছিলাম বীজপুরটা আমার একার নয়। আমি যেমন এখানকার ভূমিপুত্র, আমার বাবা মুকুল রায়ও এখানকার ভূমিপুত্র। বাবার কাছে হেরে গেছি। মানুষ বেছে নিয়েছে বাবাকে।”

শুভ্রাংশু সাংবাদিকদের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি এক্ষুনি দল ছাড়ছেন না। একই সঙ্গে রেখেছেন প্রশ্নও। সাংবাদিকের হাত ধরে সদর দফতরে তিনি প্রশ্ন করতে চান,  “এখন আমি দল ছাড়ছি না। কিন্তু দল কি আমায় বিশ্বাস করে? এখন সব কিছুতেই একটা কোয়েশ্চেন মার্ক এসে যাচ্ছে।” প্রশ্নের বোঝাই যাচ্ছে বাবাকে মিরজাফর প্রতিপন্ন করা দলের সঙ্গে দূরত্ব কতটা।

মমতা বন্দ্যপাধধ্যয়ায় কমিশনকে ভর্ৎসনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, এক লক্ষ মুকুল ঢোকাবেন দলে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে হাসছেন শুভ্রাংশু। বলছেন, “একটা মুকুল রায় গোটা তৃণমূলটাকে ভেঙে তছনছ করে দিল।”

তাঁর হাসির আর বাতাসে ভাসতে থাকা মুকুল রায়ের নামে স্লোগান মধ্যে লুকিয়ে থাকা ইঙ্গিত পড়তে পারছেন অনেকেই।