সংক্ষিপ্ত
গত দু'দিন একটি বারের জন্যেও বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ মুখে আনেননি নরেন্দ্র মোদী। অথচ এদিন জনসভা বিদ্যাসাগরই হয়ে উঠলেন তাঁর সহায়।
৪৮ ঘণ্টা পার হতে চলেছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার। রাজ্যে নজিরবিহীন ভাবে জারি হয়েছে ৩২৪ ধারা। আজই রাজ্যে শেষ প্রচারের সুযোগ। এরই মধ্যে বিদ্যাসগারকেই অস্ত্র বানিয়ে ফেললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তরপ্রদেশের ঘোসি লোকসভা কেন্দ্রের মউ এলাকা থেকে তোপ দেগে মোদী কলকাতা নৈরাজ্যে তাঁর দলের দায় ঝেড়ে ফেললেন, একই সঙ্গে গোটা ঘটনায় তিনি দোষী সাব্যস্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। সঙ্গে রইল মূর্তি গড়ার প্রতিশ্রুতি।
গত দু'দিন একটি বারের জন্যেও বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ মুখে আনেননি নরেন্দ্র মোদী। অথচ এদিন জনসভা বিদ্যাসাগরই হয়ে উঠলেন তাঁর সহায়। মঞ্চ থেকেই বললেন, ‘‘যেখানে তৃণমূল মূর্তি ভেঙেছে, সেখানে আমাদের সরকার পঞ্চধাতুর মূর্তি বানিয়ে দেবে বিদ্যাসাগরের।’’
এই সভা থেকে মোদী পারদ চড়ান মায়াবতীর বিরুদ্ধেও। এদিন সকালেই মোদী-শাহ জুটিকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মায়াবতী। বলেছিলেন মমতাকে 'টার্গেট' করছে বিজেপি। মোদী সভাস্থল থেকে জবাব ফেরালেন মায়াবতীকে। বলেলন আমি ভেবেছিলাম এর বিরোধীতা করবেন মায়াবতী, কেননা মমতা উত্তরপ্রদেশের মানুষকে বহিরাগত বলেন।
প্রসঙ্গত আজ কলকাতা ও দমদমে সভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। সেই সভা নিয়েও মমতাকে কটাক্ষ করলেন মোদী। বললেন, মমতার ক্ষমতা থাকলে আমার হেলিকপ্টার নামতে দিতেন না।
কিন্তু রাজ্য সরকারী কলেজে কী ভাবে কেন্দ্র মূর্তি বসাতে পারে, তাই নিয়ে প্রশ্ন রইলই।