সংক্ষিপ্ত
- অবশেষে সাংবাদিক বৈঠকে ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
- প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নপত্র যে বেশ লম্বা ছিল তা বলাই বাহুল্য।
- কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে থেকেও সে সবে জল ঢেলে দিলেন মোদী নিজেই।
অবশেষে সাংবাদিক বৈঠকে ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নপত্র যে বেশ লম্বা ছিল তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে থেকেও সে সবে জল ঢেলে দিলেন মোদী নিজেই।
সাংবাদিকে বৈঠকে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। বলা ভাল, সিংহ ভাগ মুখে কুলুপ এঁটে রইলেন। যাবতীয় কথা বলে গেলেন পাশে বসে থাকা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এমন মৌন সাংবাদিক বৈঠক দেখে শুক্রবার চোখ চড়কগাছ হল অনেকেরই। বৈঠকের বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। আর মোদীর এমন ধারা সাংবাদিক বৈঠককে কটাক্ষ করতেও জমি ছাড়ছেন না বিরোধীরা।
সাংবাদিক বৈঠকের পরেই তাই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নানা রকম ট্রল আর সমালোচনার বন্যা।
রাহুল গান্ধী টুইট করেছিলেন, অভিনন্দন মোদীজি। দারুণ সাংবাদিক সম্মেলন। আপনি এসেছেন এটাই একটা হাফ ব্যাটল। পরের বার নিশ্চয়ই আপনাকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুমতি দেবেন অমিত শাহ।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব টুইচট করছেন, সাংবাদিক সম্মেলন দেখে মনে হল যেন মন কি বাত-এর শেষ এপিসোড রেডিওর বদলে টিভিতে হচ্ছে। বেচারা সাংবাদিকরা প্রশ্ন নিয়ে বসেই থাকলেন।
জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও এদিন তির্যক ভাষায় বলেন, অমিত শাহ কিন্তু সাংবাদিকদের বেশে থাকা বিজেপি কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।
কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল লেখেন, আমি এমন সাংবাদিক বৈঠক দেখিনি, যেখানে একজনের হয়ে অন্যজন উত্তর দিয়ে চলেছেন।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, মোদীর বডি ল্য়াঙ্গুয়েজই বলে দিচ্ছে, তিনি এখন থেকেই বুঝে গিয়েছেন যে পরাজিত হবেন।
তবে মোদী ভক্তরা বলছেন, ভোটের প্রচার করে ক্লান্ত মোদী। তাই নাকি এদিন তিনি গলার বিশ্রাম দিলেন। বিরোধীরা এখানেও প্রশ্ন তুলছেন, ক্লান্তই যখন, কেন সাংবাদিক বৈঠক করলেন।