সংক্ষিপ্ত

  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধবার জন্য অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। কখনও কনভয়ের সামনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে তাঁকে বিঁধছেন বিজেপি সমর্থকরা।
  • আবার কখনও জয় শ্রীরাম লিখে তাঁকে ১০ লক্ষ কার্ড পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
  • এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধবার জন্য অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। কখনও কনভয়ের সামনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে তাঁকে বিঁধছেন বিজেপি সমর্থকরা। আবার কখনও জয় শ্রীরাম লিখে তাঁকে ১০ লক্ষ কার্ড পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি সাক্ষাৎকারে অপর্ণা জানান, "রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের হাতে হাত ধরে চলার বিষয়টাই তাঁর অপছন্দ। তাই রাজনৈতিক স্বার্থে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলার বিষয়টিকেও তিনি মোটেই পছন্দ করছেন না। "

যদিও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে কেউই 'জয় শ্রীরাম' বা 'আল্লা হু আকবর' যে কোনও ধ্বনিই তুলতে পারেন বলে মনে করেন অপর্ণা সেন। "এভাবে কারোকে থামানো যাবে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে গাড়ি থেকে নেমে অকথ্য ভাষায় কথা বলে  জয় শ্রীরাম ধ্বনি থামাতে চাইছেন তা মোটেই কাম্য নয়।" 

জয় শ্রীরাম নিয়ে অপরিণত আচরণ মমতার, তীব্র কটাক্ষ করে দাবি মুকুলের

পাশাপাশি এই সাক্ষাৎকারে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বলেন, "বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মমতা ক্ষমতায় এসেছিলেন।  বহু কাজ করেছেন। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি বহু রাস্তাঘাট সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। মাওবাদী সমস্যাও মিটিয়েছেন মমতা। পাহাড়েও এখন আমরা শান্তিতে ছুটি কাটাতে যেতে পারি। 

কিন্তু মমতার প্রতিক্রিয়া নিয়ে মোটেও ইতিবাচক নন অভিনেত্রী। অপর্ণার কথায়, তিনি খুবই কথায় কথায় উত্তেজিত হন। কথা বলার আগে ভাবেন না। তিনি যদি দীর্ঘদিন ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে চান তাহলে নিজের মুখের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। ভেবে কথা বলা অভ্যেস করতে হবে। সৌগত রায়, অমিত মিত্রের মতো সজ্জন ব্যক্তিদের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত।"

জয় শ্রীরাম প্রসঙ্গে অপর্ণা আরও বলেন, "মমতা নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন। বাংলার মানুষ তাঁকে এরকম আচরণ করতে দেখে খুবই দুঃখিত। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে তাঁকে। আর এখন শহুরে মধ্যবিত্তরা বেশির ভাগই কট্টর বিজেপি। আমি সেটার জন্য চিন্তিত।  আমার বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছু করবেনই। কিন্তু তাঁরা যেভাবে হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে জাতীয়তাবাদ মেলাচ্ছেন, তা নিয়ে আমি চিন্তিত।" 

সাক্ষাৎকারে মোদী ও মমতা দুজনের উদ্দেশে বার্তা দিতে বলা হলে, অপর্ণা বলেন, "মিস্টার নরেন্দ্র মোদী, দয়া করে মনে রাখবেন আপনি শুধু হিন্দুদের প্রধানমন্ত্রী নন। আপনি খ্রিষ্টান, দলিত ও মুসলিমদেরও প্রধানমন্ত্রী।" 

আর মমতার উদ্দেশে অপর্ণা বলেন, "দয়া করে কিছু বলার আগে ভেবে বলুন।"