সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনে ১৯ মার্চ থেকে বন্ধ ওপার বাংলার সিনেমা শ্যুটিং
  • প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি ৫ জুন থেকে ফের কাজ শুরু করেছে
  • শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার আগে সবাইকে করোনা টেস্ট করতে বলা হয়েছে
  • তবে এখনও পর্যন্ত শ্যুটিং ফ্লোরে কলাকুশলীদের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি 

গত ১৯ মার্চ থেকে ওপার বাংলার সিনেমা পাড়া স্তব্ধ। বিএফডিসি-তে বন্ধ যে কোনও ধরনের শুটিং। আনাগোনা নেই প্রযীজক-শিল্পী-কলাকুশলীদের। টানা আড়াই মাস পর আবার শুটিং শুরু হল সিনেমা পাড়ার।  

গত ২ জুন এক বৈঠকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি ৫ জুন থেকে ফের কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সেই খবর জানান, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদুল আলম খসরু।

আরও পড়ুনঃ চুম্বন থেকে সঙ্গমের সাহসী দৃশ্য, আরবাজের সঙ্গে রোম্যান্সে মত্ত মালাইকা

তিনি বলেন, কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র শিল্পের কথা বিবেচনা করেই ৫ জুন থেকে শুটিং শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, চলচ্চিত্রের আয়োজনটি হয় বেশ বড় পরিসরের, তাই এখানে সামাজিক দূরত্ব মানা কঠিন। সেই কারণে শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার আগে সবাইকে করোনা টেস্ট করার অনুরোধ করেন খসরু।

প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির বিএফডিসির কার্যালয়ে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমসহ অনেকে।

সিনেমায় নাচ-গান থাকে। নায়ক-নায়িকার অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকে। এসব করতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। এ ধরণের দৃশ্যের শ্যুটিং করতে শরীর স্পর্শ হয়। বৈঠকে শুটিং ইউনিটের লোক যতটুকু সংক্ষিপ্ত করে কাজ করা সে বিষয়ে আলোচনা হয়। এছারা কিছু বিধি নিষেধও দেওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে।  

আরও পড়ুনঃ পেছন থেকে দীপিকার ধমক, আয়ুষ্মানের সঙ্গে ভিডিও কল কাটলেন রণবীর, ভাইরাল ভিডিও

তবে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘এটা কোনও নীতিমালা নয়, আবার উদ্বুদ্ধ করাও নয়। আমরা চাই যারাই শুটিং করুক না কেন, তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে করেন’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সংগঠনগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্যুটিং শুরুর ঘোষণা করার পর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন বাপ্পি চৌধুরী ও অধরা খান। এই দুজনকে নিয়ে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড শুরু করছেন ‘কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ’ নামে ছবির কাজ।

তবে আগেই এই ছবির  শুটিং শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর বাইরে, এখনও অন্য কোনও সিনেমার শুটিংয়ের খবর মেলেনি। কিছু প্রযোজক-পরিচালক নতুন ছবির পাশাপাশি অর্ধসমাপ্ত ছবির শুটিং করতে চাইছেন।