সংক্ষিপ্ত
সামনেই রাখা ছিল অপরাজিতার গাড়ি। একটি বড় আধলা ইট ধেয়ে আসে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে! অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘গাড়িতে থাকলে ইটটা সরাসরি মুখে এসে পড়ত। বড় ফাঁড়া গেল আমার।’’
অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন অপরাজিতা আঢ্য। খবর, অশোকনগরের ১৩ নম্বর স্টুডিয়োয় গভীর রাতে আচমকা ইটবৃষ্টি। সেখানে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র সেট। শ্যুট তখন শেষের পথে। আচমকা ইটের বড় টুকরো এসে পড়ে অভিনেত্রীর গাড়িতে। সে সময়ে তিনি গাড়িতে ছিলেন না। ফলে, তাঁর আঘাত লাগেনি। বদলে ছোট পর্দার ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র ভীষণ প্রিয় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়েই এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল অপরাজিতার সঙ্গে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘গাড়ির যেখানে ইঁট এসে পড়েছে ওখানে আমিই বসি। ভাগ্যক্রমে ওই সময় গাড়ি থেকে দূরে ছিলাম। তাই বেঁচে গিয়েছি।’’
প্রকৃত ঘটনা কী? অপরাজিতার গলায় তখনও আতঙ্কের সুর, ‘‘পরের দিন সকালে আমার আগামি ছবির প্রচার। তাই আগের দিন বেশি রাত পর্যন্ত শ্যুট করছিলাম। শ্যুট তখন শেষের পথে। আমার প্যাক আপ হয়ে গিয়েছে। সেট থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে যাব। এমন সময় দাদার ফোন। গাড়িতে না উঠে একটু পাশে সরে যাই। কথা বলতে বলতেই কানে আসে হট্টগোল। তড়িঘড়ি ফোন রেখে গিয়ে দেখি, বাইরে ইটবৃষ্টি হচ্ছে!’’ তখনই বেশ কিছু ইট এসে পড়ে স্টুডিয়ো চত্বরে। সামনেই রাখা ছিল অপরাজিতার গাড়ি। একটি বড় আধলা ইট ধেয়ে আসে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে! অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘গাড়িতে থাকলে ইটটা সরাসরি মুখে এসে পড়ত। বড় ফাঁড়া গেল আমার।’’
অপরাজিতা দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেও তাঁর গাড়িটি ভাল মতোই ক্ষতিগ্রস্ত। অভিনেত্রীর গাড়ির প্রতি প্রচণ্ড দুর্বলতা। ফলে, খুব মনখারাপ তাঁর। দাবি, ‘'পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কে দিশেহারা। স্থানীয় রিজেন্ট পার্ক থানায় জেনারেল ডায়েরি করব, সেই ক্ষমতাও নেই। কোনও মতে বাড়ি ফিরি। আইনজীবীর সঙ্গে সেই রাতে কথাও বলতে পারিনি। ফলে, আমার তরফ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়নি। যেটা গাড়ির বিমার জন্য জরুরি। তবে প্রযোজক সুশান্ত দাসকে ফোনে জানিয়েছি সবটা।'' পুরোটাই ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে।প্রযোজক তখন মুম্বইয়ে। খবর শুনেই তড়িঘড়ি শুক্রবার গভীর রাতে শহরে ফেরেন তিনি। ইতিমধ্যেই স্টুডিয়ো থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুক্রবার বেশ বেলা করেই শ্যুটে আসেন অভিনেত্রী। দুর্ঘটনার রেশ তখনও তাঁর মন থেকে মোছেনি।
স্টুডিয়ো থেকে অভিযোগ জানানোর পরে কোনও পুলিশি পদক্ষেপ করা হয়েছে? অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘’অভিযোগ দায়েরের পরেই পুলিশি তল্লাসি চলে। প্রশাসনের দাবি, স্টুডিয়োর পাশের নির্মিয়মাণ বাড়ি থেকে এক মানসিক বিকারগ্রস্তকে আটক করা হয়েছে। সে-ই নাকি গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।'' যদিও পুলিশের এই কথা মানতে নারাজ অপরাজিতা। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, এক জন ব্যক্তি লাগাতার অত ইট ছুঁড়তে পারেন? অনুমান, সম্ভবত স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। সেখানেই ইটবৃষ্টি হচ্ছিল। যার কিছু ইট দুর্ঘটনাবশত এসে পড়ে স্টুডিয়ো চত্বরে।