সংক্ষিপ্ত

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার জোড়া তারকার লড়াই। তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির গোদি দখলে মরিয়া দুই প্রার্থী। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন এই দুই প্রার্থীর?

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার জোড়া তারকার লড়াই। তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির গোদি দখলে মরিয়া দুই প্রার্থী। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও কর্মস্থল দু'জনেরই এক। বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। বহু ছবিতেই স্ক্রিন শেয়ার করেছেন এই দুই তারকা। তবে এখন দুটি ভিন্ন দলের প্রার্থী। কিন্তু এই দুই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন তা জানতে আগ্রহী অনেকেই।

নিজেদের সম্পর্কের ব্যপারে মাঝে মধ্যেই মুখ খোলেন এই দুই তারকা। কিছুদিন আগেই লকেট প্রসঙ্গে রচনা বলেন," লকেটের সঙ্গে অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে। আমি সেই ভাবেই লকেটকে দেখতে চাই, বললেন রচনা।"

অন্যদিকে রচনার সঙ্গেও সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, " রাজনীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্কে আঁচ যেন না পড়ে, সম্পর্ক যেন ভাল থাকে।"

এ ছাড়াও লকেট সম্পর্কে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দু’জনে এত ভাল ভাল ছবি করেছি। এখনও যদি আমি আর লকেট সামনাসামনি বসি সারারাত কেটে গেলেও আমাদের কথা শেষ হবে না। আমরা যখন সিনেমা করতাম আমাদের বন্ডিং ভীষণ স্ট্রং ছিল। আমরা যখন অনেকদিন ধরে ছবির জন্য আউটডোর শুটিং করতাম, পাঁচ-ছ’জন শিল্পী, আমি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, লাবনী সরকার, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক একটা গ্রুপ ছিলাম। শুটিংয়ের পরে জমত আড্ডা। প্রসেনজিৎ হারমোনিয়াম বাজাচ্ছে, লকেট গান করছে, আমি তবলা বাজাচ্ছি এ রকমও হয়েছে। সেই স্মৃতিগুলো খুব ভাল। আমি সেই স্মৃতিই লকেটের জন্য আমার কাছে রাখতে চাই।"

অন্যদিকে লকেট জানিয়েছেন, “রাজনীতির বাইরে যে ক’জন বন্ধু রয়েছে, আমি তাঁদের কাছে সাংসদ নই আমি সেই লকেট। আমাদের কত হাসি মজার কথা হত। ভুল করে কিছু বলে ফেলেছি, সেটা নিয়ে খুব মজা হত। বুম্বাদা বুম্বাদা বলে সেই লকেট এখন এই। আমি আমার পরিচয়টা সে রকমই সাধারণ রাখতে চাই। আমি সাংসদ আজ, কাল কী হবে জানি না। আমি দশ বছর অভিনয়ের জায়গাটা ছেড়ে এসেছি, তাই যোগাযোগ হয়তো কিছু কমে গিয়েছে, কিন্তু স্মৃতি রয়ে গিয়েছে অনেক।”

লকেট রচনা সম্পর্কে আরও জানান, "মানুষের সঙ্গে আমাদের পরিচিতি অভিনয় জগত থেকেই। ও এখনও শুটিং করে। ক্যামেরা অ্যাকশনের মধ্যে রয়েছে। আমি দশ বছর ছেড়ে এসেছি। আমি চাই রাজনীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্কের আঁচ যেন না পড়ে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেন আমাদের ভাল থাকে। রাজনীতি মানে কেউ কাউকে গালিগালাজ করা নয়, কেউ কারো ভুল ধরিয়ে দেওয়া নয়।আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি এবং যে যার বিচারধারা নিয়ে সেই কাজ করছি। আমার মনে হয়েছে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নরেন্দ্র মোদির যে বিচারধারা, তা আমার পছন্দ, আমি তাতে উৎসাহিত হয়েছি। ওঁর মনে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছে। আগামী দিনে মানুষ ঠিক করবে কার বিচারধারা ঠিক।"