সংক্ষিপ্ত

চক্রবর্তী দম্পতি তাঁদের এক মাত্র ছেলেকে নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে দিচ্ছেন। নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করছে ইউভান।

সেপ্টেম্বরে দু’বছরে পা। ব্যস্ততায় বাবা রাজ চক্রবর্তী, মা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে দিয়েছে সে! ইউভানের রোজনামচা জানলে থ’ হয়ে যাবেন। যেমন? সকালেই ইউভান বল পায়ে মাঠে। শরীরটাকেও তো ঠিক রাখতে হবে? তার জন্য শরীরচর্চা দরকার। এই নীতি মেনে বেশ কিছু ক্ষণ খোলা আকাশের নীচে, সবুজ ঘাসের উপরে ছোটাছুটি। নিজেই বলে শট দিচ্ছে। আবার নিজেই কুড়িয়ে আনছে। বল আর ইউভান— আকারে প্রায় সমান সমান! তাতে কী? বল নিয়ে কাটিয়ে এগনোর চেষ্টা কিন্তু দেখার মতো। উল্টো দিকে হয়তো তখন রাজ। ছেলেকে খেলাধুলোয় উৎসাহ দিচ্ছেন। এমন কসরত ক্যামেরাবন্দি করার লোভ সামলাতে পারেননি শুভশ্রী। ফলাফল, ছেলের কীর্তি ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

 

View post on Instagram
 

 

 

এটা ইউভানের ফি-সকালের রুটিন। বিকেলে কী করে সে? শুভশ্রীর সামাজিক পাতা বলছে, তারকা সন্তান তখন পুরোপুরি ‘শিল্পী’! রং-তুলিতে মগ্ন। সামনে বড় আঁকার খাতা। পাশে প্যালেটে রঙ উপুড় করা। গম্ভীর মুখে তাতে তুলি ডুবিয়ে ইচ্ছেমতো রঙিন করছে সব কিছু। আবার বড় শিল্পীরা যে ভাবে তুলি ছাড়াও হাত, আঙুল ব্যবহার করেন— সেটাও করেছে সে! সব মিলিয়ে ইউভানের আঁকা কেমন? শিশু-মন যে কত রঙিন সেটা ওর খাতা বলবে। এ ভাবেই চক্রবর্তী দম্পতি তাঁদের এক মাত্র ছেলেকে নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে দিচ্ছেন। আঁকার শেষে ইউভান আরও একটি কাজ করে। কী সেটা? খাতার মতো নিজেকেও রঙিন করে। নিজের হাত আর তুলি চট করে বুলিয়ে নেয় নিজের ফোলা ফোলা, লালচে দুই গালে। দেখতে দেখতে খুদে সদ্য ফোটা ফুলের মতোই ঝলমলে। মুখের হাসিই বলে দেয়, নিজেকে রঙিন করে কী খুশি সে!

 

View post on Instagram
 

 

 

কাজ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সুযোগ পেলে গিটারেও সুর তোলার চেষ্টা করে খুদে। সব মিলিয়ে নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করছে ইউভান। জন্ম থেকেই সবার প্রিয় ‘রাজশ্রী’র ‘রাজপুত্র’। জন্ম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অনুরাগীদের দাবি, মুম্বইয়ের তৈমুর আলি খানের মতোই বাংলায় ইউভানের জনপ্রিয়তা। তৈমুরের মতোই তার নামেও আলাদা ফ্যানপেজ! সেখানে অনুরাগীর সংখ্যাও অনেক। রাজ নিজেও ছেলেকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ভালবাসেন। বাঙালির প্রতিটি পার্বণ উদযাপনে সামিল করেন। ছেলের যত্নের ব্যাপারে সদা সজাগ শুভশ্রী। অতিমারিতে নিজে বসে ছেলের পড়াশোনার দিক দেখেছেন। করোনা কমতেই ভর্তি করে দিয়েছেন স্কুলে। এখনও ব্যস্ততার ফাঁকে ছুটি মিললেই ইউভানের দেখভাল শুরু করে দেন।