বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ৮৩ বছর বয়সে শনিবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
ফের খারাপ খবর বিনোদন জগতে। প্রয়াত হলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ রোগভোগের পর শনিবার ভোরে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩।
বছরের শুরু থেকেই অসুস্থ ছিলেন শিল্পী। তখন থেকে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ শনিবার ভোরে প্রয়াত হন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা সঙ্গীত জগত।
তাঁর গাওয়া সেরা গানের তালিকায় আছে- আমি বাংলার গান গাই, আচেনা সাগরে ডিঙ্গা ভাসাইলাম। এই সকল গান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রিয়। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
তিনি হাসপাতালেও দেখতে গিয়েছিলেন শিল্পীকে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মমতা বলেছিলেন, আমি ওঁকে প্রশ্ন করলাম, প্রতুলদা কেমন আছেন। তাকালেন, দুই হাত তুললেন। আমি আঙুলগুলো টিপে দিলাম। দেখে মনে হচ্ছিল, ভিতরে ভিতরে কষ্ট পাচ্ছেন। অক্সিজেন স্যাচুরেশন হঠাৎ ৯৩-এ নেমে এসেছিল। শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। আমি একটু কথা বলায় ৯৫ হল। খুব ওঠানামা করছে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। আজ সকালে সকল পরিশ্রম শেষ হয়ে গেল। প্রয়াত হলেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
আমি বাংলার গান গাই, ডিঙা ভাসাও সাগরে-র মতো গান তাঁর গাওয়া। গোঁসাইবাগানের ভূত ছবিতেও গান গেয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেশি আলাপ না থাকলেও আমি প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানের শ্রোতা। তাঁর কন্ঠে আমি বাংলার গান গাই বিশেষ ভাবে পছন্দ করি। তিনি বাংলাকে খুবই ভালোবাসতেন। সবাই একে একে চলে যাচ্ছেন, এটা ভেবেই মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সকালে উঠেই মন খারাপ করা খবরটা পেলাম। কিছুই ভালো লাগছে না।
এক সংবাদমাধ্যমকে শ্রাবণী সেন জানান, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব না থাকলেও তাঁর গানের ভক্ত ছিলান। খবটা পেয়ে খারাপ লাগছে।
