সংক্ষিপ্ত
টেলি অভিনেত্রী পায়েল সরকার জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে অশ্লীল ছবি ভাইরালের হুমকি অভিযোগ দেন এক যুবক। পরিবারের এক আত্মীয়র বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন পায়েল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
টেলি অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপে কুপ্রস্তাব পেলেন অভিনেত্রী। সেই কথা প্রকাশ্যে আনতেই তোলপাড় নেটদুনিয়া। টেলি অভিনেত্রী পায়েল সরকার জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে অশ্লীল ছবি ভাইরালের হুমকি অভিযোগ দেন এক যুবক। পরিবারের এক আত্মীয়র বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন পায়েল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
অভিযোগে টলি অভিনেত্রী পায়েল সরকার জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরে তার সোশ্যাল মাধ্যমে সঞ্জীব ঘোষ নামে এক যুবক তাকে বিভিন্ন রকম অশ্লীল ছবি পাঠায় এবং কুপ্রস্তাব দেয় । সঞ্জীব ঘোষ পেশায় জিম ট্রেনার। দিনকয়েক ধরেই একই জিনিস হওয়ার পর শেষমেষ বাধ্য হয়ে অভিনেত্রী সেই যুবকের ফোন নম্বরটি ব্লক করে দিলে পরে আবার অন্য নম্বর থেকে তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয় । অভিনেত্রী রাজি না হওয়ায় পায়েল সরকারের বেশ কিছু অশ্লীল ছবি বানিয়ে অভিনেত্রীকে পাঠানো হয় ,এমনকি প্রস্তাবে রাজি না হলে এই ছবি ভাইরাল করে দেবার হুমকি দেওয়া হয় পায়েলকে। সূত্রের খবর সঞ্জীব ঘোষ নামে যুবকটি অভিনেত্রীর সম্পর্কে কাকা হয়। শেষমেষ বাধ্য হয়ে ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানান পায়েল সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুপ্রস্তাব পাচ্ছেন টলি নায়িকারা। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই মিলছে একের পর এক হুমকি। অশ্লীল ম্যাসেজ থেকে ছবি সবকিছু নিয়েই চলছে ব্ল্যাকমেইল। এমনকী অ্যাকাউন্ট ব্লক করলেও বিভিন্ন নম্বর থেকে নোংরা প্রস্তাব পাচ্ছে তারকা। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, কেউই ছাড় পাচ্ছেন না।
কিছুদিন আগেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্র। যা নিয়েও রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়।সম্প্রতি এক বাঙালি ব্যবসায়ীর সঙ্গে সময় কাটানোর কুপ্রস্তাব পান রূপাঞ্জনা মিত্র। এমনকী একরাতের জন্য তার দর কত, তাও জানতে চাওয়া হয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাজমাধ্যমের পাতায় মৃণ্ময় নামের ওই ব্যক্তির অসৎ উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী। কীভাবে এই কুপ্রস্তাব পেলেন রূপাঞ্জনা মিত্র, তা সরাসরি সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন নায়িকা। রূপাঞ্জনা জানান, প্রথমে তার কাছে মেইল আসে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া মেইল অ্যাড্রেসে। কাজ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে নিজের ফোন নম্বর দেন সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য।
তারপরই ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করে। এবং সেখানেই তার ফি কত, জানতে চায়। ক্রিনশট শেয়ার করে রূপাঞ্জনা আরও জানান, ওই ব্যক্তি সরাসরি বলেন, তার ক্লায়েন্ট চায় দেখা করতে এবং সময় কাটাতে। রূপাঞ্জনা তারপরই জিজ্ঞাসা করে, কবে হবে এই সাক্ষাৎ, কোনও কাজের সূত্রে। তবে এর জবাব সরাসরি না এলেও বারবার দেখা করার কথা বলা হতে থাকে। তিনি তখন জানান, তার ক্লায়েন্ট বিনোদন জগতের কেউ নন বরং তিনি একজন বাঙালি ব্যবসায়ী। তারপর সেই বাঙালি ব্যবসায়ী ক্লায়েন্টের ছবি দেখতে, পরিচয় জানতে চেতেই ওই ব্যক্তি প্রস্তাব এরিয়ে যান। তারপরই রূপাঞ্জনা কড়া জবাবে বলেন, আপনার ক্লায়েন্ট আমাকে অ্যাফোর্ড করতে পারবে না। আমার মনে হচ্ছে আপনারা হারেম সেন্টার খুঁজছেন। শুনুন আপনাকে আরও একটা কথা বলি, আমি আপনার এই বাঙালি ব্যবসায়ীকে ঠিক খুঁজে বার করব। আপনার ভুল জায়গায় কড়া নেড়ছেন।