সংক্ষিপ্ত

  • আজাদ কাশ্মীর নিয়ে গলা চড়িয়ে সুর নরম করেছেন মাহেক
  •  অথচ তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার একাংশ
  •  এবার মরাঠি এই যুবতীর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত
  •  ইনস্টাগ্রামে কী  বললেন এই বাঙালি পরিচালক 
     

আজাদ কাশ্মীর নিয়ে গলা চড়িয়ে সুর নরম করেছেন মাহেক। অথচ তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার একাংশ। এবার মরাঠি এই যুবতীর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। 

কদিন আগে জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে ইন্ডিয়া গেটে আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার দেখিয়েছিলেন মাহেক মির্জা প্রভু। যার জেরে মঙ্গলবারই মারাঠি যুবতী মাহেক মির্জা প্রভুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। বিভ্রান্তি এড়াতে এবার নিজেই মুখ খুললেন মাহেক। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, কোনও দেশবিরোধী গ্রুপের সঙ্গে জড়িত নন তিনি। তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা বন্ধ হোক। 

 

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

#freedom #humanrights #inclusive #young #mindset #perceive #free

A post shared by Birsa Dasgupta (@birsadasgupta) on  

 

সোশ্য়াল মিডিয়ায় নেটিজেনদের বয়ানবাজি  বলছে, আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার ধরার জন্য কম গাল খেতে হয়নি মাহেককে। এমনকী কেউ কেউ তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্য বলেও মন্তব্য় করেন। যারপরই বাংলার পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের এই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সামনে এসেছে। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'ফ্রি কাশ্মীর মানে হারিয়ে যাওয়া ভূস্বর্গকে ধর্মীয় হানাহানি ও বিভাজনের রাজনীতি থেকে রক্ষা করা। কাশ্মীরবাসীকে তাদের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মৌলিক অধিকার দেওয়া। আমার মনে হয়, সেই চিন্তাধারাই মাহেকের ছোট্ট মনে নাড়া দিয়েছিল। যার জেরেই মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে ফ্রি কাশ্মীরের পোস্টার ধরেছিল ছোট্ট মাহেক। আমি ওর আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার দেখে এটাই মনে করেছি। '     

সম্প্রতি মুম্বইয়ে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে জেএনইউ-তে হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। সেখানেই 'ফ্রি কাশ্মীর' লেখা পোস্টার হাতে এক মহিলার ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই মহিলাকে 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' আখ্য়া দিয়ে পাল্টা আন্দোলনে নামে বিজেপি। প্রশ্ন তোলা হয় শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি সরকারের বিরুদ্ধেও। কীভাবে মুম্বইয়ের মতো জায়গায় দেশবিরোধী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। এরপর থেকেই ওই যুবতীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। 

যদিও এ সবের সাফাই দিয়ে মাহেক জানান, তিনি নিজে কাশ্মীরি নন। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে উপত্যকায় নেট  বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। দেশের নাগরিকদের মতো তাঁদের বাক স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। তিনি সেই কথাই তুলে ধরেছেন। কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। এমনকী নিজে সেই পোস্টার লেখেননি মাহেক। প্রতিবাদরত ছাত্রদের পড়ে থাকা পোস্টারই  তুলে নেন তিনি। কিন্তু বিগত কিছুদিন  ধরে তাঁর নামে সোশ্য়াল মিডিয়ায় যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা ঠিক নয়।

মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, মাহেকের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-র বি ধারায় মাহেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দ্রুত তাঁকে ডেকে পাঠাবে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই ওই ভিডিয়ো ও ইন্ডিয়া গেটের চারিদিকের ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। তাঁর 'ফ্রি কাশ্মীর' পোস্টার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, এদিন একটি ভিডিয়ো মেসেজ রিলিজ করেন মুম্বইয়ের ওই লেখক-অভিনেত্রী।