সংক্ষিপ্ত

ঋতিক রোশন এবং ঐশ্বর্যা রাই অভিনীত ‘যোধা আকবর’ ছবিতে বেশ কিছু বড় এবং ভয়ঙ্কর ভুল হয়েছে। এমনই ৫ টি ভুলের উপর একবার নজর রাখুন...

ঋতিক রোশন এবং ঐশ্বর্যা রাই অভিনীত ‘যোধা আকবর’ ছবি মুক্তির ১৭ বছর হয়ে গিয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। বক্স অফিসে এই ছবিটি সেমিহিট হয়েছিল। বক্স অফিস ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবিটির নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ৫৫ কোটি টাকা, যেখানে এই ছবিটি ভারতে নেট ৫৬.০৪ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী ১০৭.৭৮ কোটি টাকা আয় করেছিল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই ছবিতে কিছু ছোট ছোট ভুলও ছিল? এমনই ৫ টি ভুলের উপর একবার নজর রাখুন...

১. মুঘল আমলে আলু কোথা থেকে এলো?

ছবির একটি দৃশ্যে যোধা রান্না করার জন্য প্রস্তুত এবং তার কাছে সবজি রাখা। এতে আলুও দেখানো হয়েছে। আকবরের শাসনকাল ছিল ষোড়শ শতাব্দীতে, যেখানে আলু দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ভারতে আনা হয়েছিল সপ্তদশ শতাব্দীতে। তাহলে যোধার সবজির ঝুড়িতে আলু কোথা থেকে এলো?

২. মুঘল আমলে স্টেইনলেস স্টিলের ব্যবহার হত?

বিয়ের পর যখন জোধা প্রথমবার আগ্রায় যান, তখন একজন রাজপুত দাসী ভাত ভর্তি একটি পাত্র নিয়ে আসে, যা জোধা পা দিয়ে ফেলে দেয়। যদি আপনি লক্ষ্য করে থাকেন, তখন সেই পাত্রটি দাসীর হাতে থাকাকালীন তার নীচে স্টেইনলেস স্টিলের তলা দেখা যায়, যেখানে সেই সময়ে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের প্রচলনই ছিল না।

৩. মহম আঙ্গার বলা শব্দের অস্তিত্বই নেই

ছবির একটি দৃশ্যে মহম আঙ্গা রাঁধুনির তৈরি খাবারের স্বাদের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং আকবর ও রাজদরবারীদের বলেন, "খোদ জাঁহাপনাও এই বিষয়ে ইনকার-এ-হরফ তুলতে পারবেন না।" এই সংলাপে ব্যবহৃত ‘ইনকার-এ-হরফ’ শব্দের অস্তিত্বই নেই। সঠিক শব্দ হল হরফ-এ-ইনকার, যার অর্থ আপত্তি।

৪. আকবরের আমলে মোমবাতি কোথা থেকে এলো?

ছবিতে মোমবাতি জ্বলতে দেখানো হয়েছে, যেখানে আসলে মোমবাতির সেই সময় অস্তিত্বই ছিল না। ১৮৩০ সালে প্রথমবার মোমবাতি তৈরি করা হয়েছিল।

৫. আকবরনামায় জোধা বাইয়ের নামেরও উল্লেখ নেই

রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বড় ভুল হল ছবিতে যোধা বাই নামে আকবরের রাজপুত রানী দেখানো হয়েছে। যেখানে আকবরের জীবনী ‘আকবরনামা’ অনুযায়ী, আকবরের কোনও হিন্দু রাজপুত রানি ছিলেন না, যার নাম যোধা বাই। আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীরের জীবনীতে উল্লেখ আছে যে তার মা ছিলেন হিন্দু রাজপুত রাজকন্যা, যিনি বিয়ের পর নিজের নাম রেখেছিলেন মরিয়ম জামানি।