সেইফার ইন্টারনেট দিবসে আয়ুষ্মান খুরানা শিশুদের সাথে অনলাইন সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তাদের সাইবার হুমকি থেকে বাঁচার উপায় বাতলেছেন। তিনি অভিভাবকদেরও শিশুদের সাথে খোলামেলা আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

সেইফার ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে, ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং বলিউড তারকা আয়ুষ্মান খুরানা শিশু এবং তরুণদের ডিজিটাল বিশ্বে সুরক্ষিত থাকার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন। ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে, এই উদ্যোগটি অনলাইন সুরক্ষার গুরুত্ব বোঝানোর এবং শিশুদের সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়েছে।

শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল সুস্থতার একজন জোরালো সমর্থক, আয়ুষ্মান ইউনিসেফ ইন্ডিয়া এবং শিশু অধিকার সংস্থা PRATYeK (প্রত্যেক)-এর কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এখানে তিনি শিশুদের সাথে ডিজিটাল সুরক্ষা নিয়ে মজাদার এবং শিক্ষণীয় খেলা খেলেছেন, যার মাধ্যমে শিশুদের ইন্টারনেট সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। ইন্টারনেটের সুরক্ষিত বিশ্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আয়ুষ্মান বলেছেন, "আজকের সময়ে ৫-৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক, সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তাই প্রথমবার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিশুদের এর ঝুঁকি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে শিক্ষিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর সেইফার ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে আমি ইউনিসেফের সাথে PRATYeK (প্রত্যেক) পরিদর্শন করেছি, যেখানে আমি শিশুদের সাথে ইন্টারনেট সুরক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম শিখেছি।"

তিনি আরও বলেছেন, "এই সেইফার ইন্টারনেট দিবসে, ইউনিসেফের সাথে মিলে আমি অনলাইন সুরক্ষা এবং দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণকে উৎসাহিত করতে চাই। শিশুদের এমন সরঞ্জাম দেওয়া অত্যন্ত জরুরি যাতে তারা অনলাইনে যেকোনো ধরনের সমস্যা বা হুমকির সম্মুখীন হলে তা রিপোর্ট করতে পারে। এর ফলে তারা কেবল নিজেরই নয়, অন্যদের সুরক্ষাও করতে পারবে। অভিভাবকদেরও তাদের শিশুদের সাথে ইন্টারনেটে আসা সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত, যাতে তারা যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমরা সবাই যদি একসাথে ইন্টারনেট দায়িত্বের সাথে ব্যবহার করি, তাহলে এটিকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে পারি যা সবাইকে শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত রাখবে।"

আয়ুষ্মান খুরানার সেইফার ইন্টারনেট দিবসের এই উদ্যোগ শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল সুরক্ষার প্রতি তাঁর অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। তাঁর এই প্রচেষ্টা একটি সুরক্ষিত এবং সমন্বিত ডিজিটাল বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হয়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।