সংক্ষিপ্ত
ইমরান হাশমির ছেলে আয়ানের ক্যান্সার: সম্প্রতি ইমরান হাশমি ইউটিউবার রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্ট 'দ্য রণবীর শো'-তে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তার ছেলের ক্যান্সার যুদ্ধের কথা বলেন।
Emraan Hashmi Son Ayaan Cancer Battle: বলিউডে সিরিয়াল কিসার নামে পরিচিত ইমরান হাশমি তার আসন্ন ছবি 'গ্রাউন্ড জিরো' নিয়ে আলোচনায় আছেন। সিনেমার ট্রেলারও মুক্তি পেয়েছে। পরিচালক তেজস বিজয় দেওস্করের এই সিনেমাটি ২৫ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এরই মাঝে ইমরান ইউটিউবার রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে অংশ নেন, যা 'বিয়ার বাইসেপস পডকাস্ট দ্য রণবীর শো' নামে পরিচিত। জানিয়ে রাখি, এই আল্লাহবাদিয়াই ইউটিউবে 'ইন্ডিয়াজ গট ট্যালেন্ট' শো-তে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে ইমরান তার জীবন সম্পর্কিত অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন, সেই সাথে ক্যারিয়ার এবং বলিউড সিনেমা নিয়েও কথা বলেছেন।
ছেলের ক্যান্সার নিয়ে মুখ খুললেন ইমরান হাশমি
রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে ইমরান হাশমি তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন। ইমরান সেই সময়ের কথা স্মরণ করেন যখন তার ছেলের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। এই খবর তাদের হাসিখুশি জীবনকে তছনছ করে দেয়। তিনি বলেন- "আমার মনে হয় আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল যখন ২০১৪ সালে আমার ছেলে অসুস্থ হয়েছিল। এর সাথে আমি আমার পেশাগত জীবনের উত্থান-পতনকে তুলনা করতে চাই না। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না সেই সময়টা কেমন ছিল। এটা শুধু একটা মুহূর্ত ছিল না, এটা প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলেছিল। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। আমি সেই সময় অনেক কিছু শিখেছি। কঠিন সময়েও আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলাম।"
সেই মুহূর্তটা ছিল ধাক্কা দেওয়ার মতো- ইমরান হাশমি
ইমরান হাশমি আরও বলেন- "২০১৪ সালে যা হয়েছিল, সবাই জানে যে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আমরা খুব বড় ধাক্কা খেয়েছিলাম। পরিবারের কেউই এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন আমার জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। ১৩ই জানুয়ারি, আমরা তাজ ল্যান্ডসে ব্রাঞ্চের জন্য গিয়েছিলাম এবং খাওয়ার টেবিলে ছেলের প্রথম ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা যায়। ওর স্ত্রী ওকে ঘরে নিয়ে যায় কারণ ওর প্রস্রাবের সাথে রক্ত আসছিল। তিন ঘণ্টার মধ্যে আমরা একজন ডাক্তারের ক্লিনিকে ছিলাম এবং ডাক্তার আমাদের জানান যে আমাদের ছেলের ক্যান্সার হয়েছে। পরের দিন আমাদের তার অপারেশন করাতে হয়েছিল এবং তারপর কেমোথেরাপির পালা শুরু হয়।" ইমরান আরও জানান যে সেই সময় তার ছেলের বয়স ছিল ৩ বছর ১০ মাস। সাধারণত, এই ধরনের ক্যান্সার ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন- "এর আগে আমার ক্যারিয়ার ভালো চলছিল। আমি ২০০৬ সালে বিয়ে করি। ২০১০ সালে আমাদের সন্তান হয়। সেই সময় আমার জীবন সেরা অবস্থানে ছিল এবং তারপর হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়।"
১৫ বছর বয়স ইমরান হাশমির ছেলের
পডকাস্ট চলাকালীন ইমরান হাশমিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তার ছেলে কি মনে করতে পারে এত ছোট বয়সে তার সাথে কী ঘটেছিল, উত্তরে তিনি বলেন- "এখন তার পনেরো বছর বয়স এবং আমার মনে হয় সে সব জানে কিন্তু তার বেশি কিছু মনে নেই কারণ সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর। আমি সেই সময়ের কথা নিয়ে একটি বই লিখেছি এবং সেখানে এর উল্লেখও আছে, কিন্তু এটা খুবই বেদনাদায়ক। আমার মনে হয় না সে এটা পড়বে। আমি বইটি লিখেছি যাতে আমি আমার অভিজ্ঞতা অন্যান্য বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করতে পারি এবং ক্যান্সার থেকে বাঁচতে মানুষকে সাহায্য করতে পারি। তবে আমার মনে হয় না আমি এটা পড়তে পারব বা সেই সময়ে ফিরে যেতে পারব।"