- Home
- Entertainment
- Bollywood
- লাল বিকিনিতে উন্মুক্ত বিভাজিকা, 'ড্রিম গার্ল'গৌরীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর কল্পনা কি আদৌ সত্যি হয়েছিল শাহরুখের?
লাল বিকিনিতে উন্মুক্ত বিভাজিকা, 'ড্রিম গার্ল'গৌরীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর কল্পনা কি আদৌ সত্যি হয়েছিল শাহরুখের?
- FB
- TW
- Linkdin
ঘটনাটি আশির দশকের শেষ দিকে। দিল্লীতে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গৌরীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন শাহরুখ। এমনই সময় বেপাত্তা গৌরী। উদভ্রান্তের মতো গৌরীকে দিল্লীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত খুঁজে বেরাচ্ছিলেন শাহরুখ। জানতে পারেন গৌরী রয়েছেন মুম্বাইয়ে।
বন্ধুদের নিয়ে একটি গ্রুপ বানিয়েছিলেন শাহরুখ। যার নাম ছিল 'সি-গ্যাং'। সেই গ্রুপের বন্ধুদের নিয়ে শাহরুখ পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে। পকেটের অবস্থা খারাপ । তাই 'সি-গ্যাং' তাদের সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছিল যার মধ্যে ছিল শাহরুখের সাধের ক্যামেরাও।
শাহরুখ জানতেন না গৌরীর মুম্বাইয়ের ঠিকানা। শুধু জানতেন গৌরী সাঁতার কাটতে খুব ভালবাসেন। শাহরুখ অনুমান করেছিলেন গৌরী নিশ্চয় বিকিনি পরে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে আসবেন। তাই মুম্বাইয়ের সমুদ্রতীরে দুদিন ধরে বন্ধুদের নিয়ে বসেছিলেন শাহরুখ।
শাহরুখের যুক্তি ছিল যারা সমুদ্রে সাঁতার কাটে তারা বিকিনি পরে, তাই গৌরীও তেমন কিছু করবেন। সমুদ্র তীরে গৌরীর দেখা পাননি শাহরুখ। পকেটের অর্থও প্রায় শেষের পথে। বন্ধুরা এই মারে তো সেই মারে।
তৃতীয় দিনে শাহরুখরা জানতে পারে মুম্বাইয়ে একটা নয়, এরকম বহু বিচ রয়েছে। এক পাঞ্জাবি ট্যাক্সিওয়ালাকে শাহরুখ পটান। প্রায় তার পায়ে পরে যাওয়ার মতো অবস্থা। বন্ধুদের নিয়ে ওই ট্যাক্সিতে চেপে শাহরুখরা মুম্বাইয়ের একের পর এক সমুদ্র সৈকতে গৌরীকে খুঁজতে শুরু করেন।
সমুদ্র সৌকতে শাহরুখ একে ওকে জিজ্ঞাসা করেন বিকিনি পরা কোনও সুন্দরী মহিলাকে তারা দেখেছেন কিনা। বিকেল প্রায় শেষ হতে বসেছিল। একটি মাত্র সি-বিচই বাকি ছিল শাহরুখদের তালিকায়। বন্ধুরা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না সেই বিচে যেতে। শাহরুখের প্রবল জেদে তারা সেই সি-বিচে হাজির হন।
ট্যাক্সি থেকে নেমেই শাহরুখ বলতে থাকে ওই দেখ,লাল বিকিনি পরে গৌরি দৌঁড়ে বেড়াচ্ছে। তবে সত্যি কারেই সেদিন ওই সি-বিচে গৌরীকে খুঁজে পেয়েছিলেন শাহরুখ। তবে লাল বিকিনিতে নয়, ছিমছাম পোশাকে সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে বসেছিলেন গৌরী।
শাহরুখকে দেখে বিস্ময় ধরে রাখতে পারছিলেন না গৌরী। কারণ ঠিকানা না জেনে এত বড় একটা শহরে তাকে কীভাবে খুঁজে বের করলেন শাহরুখ তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মন্নতে বসে এত বছর পরে ডেবিড লেটারম্যানকে তার সেদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন গৌরী। জানিয়েছেন এমনটাও যে হতে পারে তার ধারণা ছিল না। সেই সঙ্গে হাঁসতে হাঁসতে বলেন শাহরুখের থেকে তার যে মুক্তি নেই সেদিনই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন।
গৌরী জানিয়েছিলেন, শাহরুখ প্রেমিক হিসেবে ছিলেন প্রচন্ড প্রজেসিভ। গৌরী ও শাহরুখের সে সময় ছিল ভিন্ন ধর্ম। তারপরে গৌরীর পরিবার ছিল প্রচন্ড রক্ষণশীল। ফলে শাহরুখের প্রজেসিভনেস গৌরী নিতে পারছিলেন না। তাই একপ্রকার রাগ করেই শাহরুখকে না জানিয়ে মুম্বাইয়ে চলে গিয়েছিলেন গৌরী। তাঁর কথায় আজ শাহরুখ শ্বশুর বাড়ির সবচেয়ে প্রিয় জামাই। শাহরুখ অবশ্য স্বীকার করেন গৌরী মুম্বাই চলে আসায় তার মধ্যেও বলিউডে কেরিয়ার তৈরি করার প্রবণতাটা আরও প্রগাঢ় হয়ে উঠেছিল।