সংক্ষিপ্ত
গত শনিবার ফের আদালতে হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য হাতে এসেছিল অভিনেত্রীর সেটাই তদন্তকারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন জ্যাকলিন।
২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় বেশ ভালভাবেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। গত ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালেই আদালত চত্ত্বরে দেখা গেছে নায়িকাকে।আর্থিক তছরুপের মামলায় দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজির ছিলেন জ্যাকলিন। গত শনিবার ফের আদালতে হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। শনিবার দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংস-এর আধিকারিকদের সামনেই আদালতে বয়ান রেকর্ড করলেন জ্যাকলিন।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য হাতে এসেছিল অভিনেত্রীর সেটাই তদন্তকারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রীর বক্তব্য ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিএস) ধারা ১৬৪ (স্বীকারোক্তি এবং বিবৃতি রেকর্ডিং)-এর অধীনে রেকর্ড করা হয় এদিন। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে নিয়ে চর্চা মোটেই থামবার নয়। বলিউড এবং কন্ট্রোভার্সি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় ইতিমধ্যেই প্রতারক সুকেশের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে গত ১৫ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। এর আগেও জ্যাকলিনের জামিনের মেয়াদ দুবার বাড়ানো হয়েছিল। যার ফলে কয়েকদিনের জন্য স্বস্তি পেয়েছিলেন নায়িকা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। তবে ক্ষণিকের স্বস্তি মিললেও ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় বেশ ভালভাবেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিনের।
ফের বড়সড় বিপাকে পড়লেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজির ছিলেন জ্যাকলিন। ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালেই আদালত চত্ত্বরে জ্যাকলিনকে দেখা যেতেই ফের নয়া চর্চা শুরু হয়েছে। সুকেশের চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের এই মামলার শুনানি হবে ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ। শুনানির জন্যই আদালত চত্ত্বরে হাজির হয়েছিলেন জ্যাকলিন। তবে শুনানি দিন ফের পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। জ্যাকলিন যখন তাঁর জামিনের আবেদন করেছেন সেই সময় ইডির তরফে এই জামিনের বিরোধিতা করবে বলে জানানো হয়েছিল। ইডি-র তরফেও জানানো হয়েছে জ্যাকলিন এই মামলার তদন্তে কোনও সাহায্য করেননি। ইতিমধ্যেই জ্যাকলিনকে নিজেদের হেফাজতে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইডি। জ্যাকলিনের জামিনের তুমুল বিরোধিতা করছে ইডি। অন্যদিকে নায়িকার আইনজীবীর দাবি, ইডি ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে তাই গ্রেফতারের কোনও প্রশ্নই নেই। তবে ইডির আইনজীবীরাও কোর্টকে জানিয়েছেন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জ্যাকলিন। ইডির আইনজীবী আরও জানিয়েছে , দেশ ছেড়েও পালাতে পারেন জ্যাকলিন। তবে এদিন এই প্রশ্ন আদালতের সামনে রাখতেই কোর্ট স্পষ্ট জানতে চায়, তাহলে এতদিন কেন গ্রেফতার করা হয়নি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে? বিচারক ইডিকে আর বলেন, কারও মুখ দেখে কোনও পদক্ষেপ করবেন না। যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তাহলে এতদিন ধরে তদন্ত চলাকালীনও কেন গ্রেফতার হল না জ্যাকলিন। অন্যদিকে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অন্য অভিযুক্ত তো জেলে রয়েছেন।