সংক্ষিপ্ত

৪ এপ্রিল ভোর ৫টা নাগাদ মুম্বাইয়ে সলমানের বাসভবনে গুলি চালায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী। এই গুলি চালানোর দায়ভার নিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই।

রবিবার ভোরে মুম্বাইয়ে সলমান খানের বাড়ির বাইরে গোলাগুলির ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা বলিউড। ১৪ এপ্রিল ভোর ৫টা নাগাদ মুম্বাইয়ে তার বাসভবনে গুলি চালায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী। এই গুলি চালানোর দায়ভার নিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই।

সম্প্রতি অ্যাক্টিভেট হওয়া একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'ইয়ে সির্ফ ট্রেলার থা'। ( এটা তো শুধু ট্রেলার ছিল)। আনমোল বিষ্ণোই জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই এবং তিনি পাঞ্জাবি গায়ক ও রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডেও অভিযুক্ত।

সলমন খানের বাড়িতে হামলার পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর পোস্টটি শেয়ার করা হয়। পোস্টে আনমোল আরও জানিয়েছেন যে " এটি সলমানকে আমাদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য একটি ট্রেলার ছিল এবং আমাদের ছোট ভাববেন না। এটাকে শেষ সতর্কবাণী হিসেবে বিবেচনা করুন"

সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে আনমোল বিষ্ণোই আজারবাইজানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। শেষবার আমেরিকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

সলমান খানের ওয়াই প্লাস সুরক্ষা রয়েছে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকির পরে গত বছরও পর্যালোচনা করা হয়।

ঘটনার তদন্তের জন্য বান্দ্রায় সলমন খানের বাড়িতে পৌঁছয় মুম্বই পুলিশ ও ফরেনসিক টিম। এরপর অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারী পলাতক এবং বিদেশি পিস্তল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এবং অতীতে সলমান খানকে অনেকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এমনকী অভিনেতাকে হুমকি পাঠানোর কথা স্বীকারও করেছিলেন তিনি।

২০২২ সালে এনআইএ-কে দেওয়া বয়ানে বিষ্ণোই স্বীকার করেছিলেন যে তিনি সলমান খানকে খুন করতে চান। "২০১৮ সালে আমি সম্পত নেহরাকে মেসেজ পাঠিয়েছিলাম সলমন খান কৃষ্ণসার হরিণকে মেরে আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন, তাই ওকে মেরে ফেলা উচিত। "