- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বলি হিরোরাই নষ্ট করে দিয়েছিল জীবন, প্রেম থেকে সহবাসের কেচ্ছায় আজও শিরানামে রবিনা
বলি হিরোরাই নষ্ট করে দিয়েছিল জীবন, প্রেম থেকে সহবাসের কেচ্ছায় আজও শিরানামে রবিনা
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা, যার হলুদ শাড়ির বৃষ্টিভেজা নাচ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। তিনি হলেন রবিনা ট্যান্ডন। একদিকে একের পর এক হিট সিনেমা অন্যদিকে চুটিয়ে প্রেম সব মিলিয়ে সর্বদাই শিরোনামে থাকতেন রবিনা ট্যান্ডন।
- FB
- TW
- Linkdin
বলি অভিনেত্রী রবিনা টন্ডনকে নিয়ে আজও সরগরম পেজ থ্রি-র পাতা। বলি কেরিয়ারের সাফল্যের পাশাপাশি জীবনে এসেছে একাধিক প্রেম। কদিকে একের পর এক হিট সিনেমা অন্যদিকে চুটিয়ে প্রেম সব মিলিয়ে সর্বদাই শিরোনামে থাকতেন রবিনা ট্যান্ডন।
ফের শিরোনামে উঠে এসেছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় নায়িকা। বলিউডের প্রথমসারির হিরোদের সঙ্গে নাম জড়ালেও প্রেমে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বারেবারে।
মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বলি অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। ১৯৯১ সালে 'পাত্থর কে ফুল' সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন। আর প্রথম ছবিতেই তার অভিনয় এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান।
জনপ্রিয় নায়িকা রবিনা টন্ডনের হলুদ শাড়ির বৃষ্টিভেজা নাচ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। জনপ্রিয় গান 'টিপ টিপ বরসা পানি' নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করেননি এমন পুরুষের সংখ্যা প্রায় হাতে গোনা। এই গানটির পর থেকেই ভক্তের সংখ্যাও দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি সুপারহিট নায়িকা ব্যক্তিগত জীবনের এক চর্চিত বিষয় সকলের সামনে উঠে এসেছে। এবং সেই কারণেই আবারও পেজ থ্রি-র শিরোনামে উঠে এসেছেন অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন।
টিপ টিপ বর্ষা পানির নায়িকা যে বরাবরই সোজা সাপটা কথা বলতে ভালবাসেন তা সকলেরই জানা। আর সেই কারণেই তাকে অনেকে নাকউঁচুও মনে করেন। যদিও সেসব কোনও কিছুকেই পাত্তা দিতে নারাজ ৪৭ -এর অভিনেত্রী। তিনি তার মতোন চলতেই পছন্দ করেন।
বলি নায়িকা রবিনা ট্যান্ডন পাগল মতো পছন্দ করতেন বলিউডের মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্তকে। ১৯৯৪ সালে জামিন সে ক্যায়া ডরনা, আতিশ, ভিজেতা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সঞ্জয় ও রবিনা। একটি ইভেন্টে গিয়ে রবিনা জানান, ছোটবেলায় তিনি ঋষি কাপুরের ফ্যান ছিলেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর সঞ্জয় দত্তই ছিলেন তার ক্রাশ। সাতটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সঞ্জয় ও রবিনা।
বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয়ের সঙ্গে রবিনার বহুলচর্চিত মাখোমাখো প্রেম সকলেরই জানা। অক্ষয়ের প্রেমে এতটাই পাগল ছিলেন রবিনা যে অন্য নায়িকার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি রবিনা। প্রেম চলাকালীন হঠাৎই রেখার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অক্ষয়ের। সেই খবর জানা মাত্রই রেখাকে অক্ষয়ের থেকে দূরে থাকার হুমকি দেন রবিনা।
সালটা ১৯৯৬। সিনেমার শুটিং চলাকালীন ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে রেখা ও অক্ষয়ের। মুহূর্তের মধ্যে তাদের ঘনিষ্ঠতার খবর দাবানলের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর রবিনার কানে পৌঁছতেই ফুঁসে ওঠেন অভিনেত্রী। রবিনা জানিয়েছিলেন, রেখা তাদের সম্পর্কের কথা জেনেও অক্ষয়ের সঙ্গে মিশেছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারেও রবিনা রেখাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। রেখাকে তার সীমাবদ্ধতার কথাও নাকি জানিয়ে দিয়েছিলেন রবিনা।
বলি অভিনেতা সানি দেওলের সঙ্গেও রবিনার ডেটিংয়ের গুঞ্জন শোনা যায়। অক্ষয়ের সঙ্গে ব্রেক আপের পরই সানির সঙ্গে প্রেম নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। একদিন রবিনাকে কাঁদতে দেখে শুটিংয়ের সেটে। তারপর থেকেই তাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। এবং তারা কোনওদিনই নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। সবসময়েই একে অপরের ভাল বন্ধু বলে দাবি করেছেন।
বলি অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন এবং অজয় দেবগণের সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। 'দিলওয়ালে'-এর শ্যুটিং চলাকালীন রবিনার সঙ্গে অজয় অভিনয় করেছিলেন। ব্যস তারপর থেকে দুজনকে নিয়ে বি-টাউনে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। মাত্র দুটো ছবি করে দুজনে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। রেস্তোরাঁ থেকে পার্টি সব জায়গাতেই দেখা গিয়েছিল এই হিট জুঁটিকে। রবিনা নাকি পাগলের মতো অজয়কে ভালবাসতেন তেমনও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল বি-টাউনে।
একই সঙ্গে 'জিগর' ছবিতে অজয়ের বিপরীতে করিশ্মা কাপুর অভিনয় করেছিলেন। তাদের জুটি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি রবিনা। তারপর থেকেই রবিনার প্রতি বিরক্ত হয়েছিলেন অজয়। এবং সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। তারপর থেকেই রবিনার থেকে দূরে সরতে থাকে অজয়। আর অজয়ের দূরে যাওয়া বুঝতে পেরেই শেষমেষ আত্মহত্যাকেই বেছে নিয়েছিলেন রবিনা। গোটা বি-টাউনে অজয় ও রবিনার এই সম্পর্ক নিয়েই জোর জলঘোলা হয়েছিল। তখনই অজয় দেবগণ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, রবিনা কেবল প্রচারে আসার জন্য এইগুলি করছেন। লাইমলাইটে থাকতেই তিনি এইসব করছেন। রবিনাও থেমে থাকেননি। তিনি অজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। যে রবিনাকে প্রতারণা করেছে অজয়। তার উত্তরে রবিনাকে পাগলের ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিল অজয়।