সংক্ষিপ্ত

সেই ছবি নিয়েই এবার আরও একটি অজানা ঘটনা শোনালেন মিউজিক কম্পোজার দেবজ্যোতি মিশ্র। 

২৪ মার্চ প্রয়াত হয়েছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ সরকার। ২০০৫ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাংলা উপন্যাস 'পরিণীতা' অবলম্বনে তৈরি সিনেমায় পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রটি নাটকীয় দৃশ্য এবং প্লটে টুইস্টের জন্য অনেকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল, মেলোড্রামাটিক ক্লাইম্যাক্সও পেয়েছিল। মুক্তির পর সমালোচকদের কাছ থেকে অনেক সমালোচনাও পেয়েছিল এই ছবিটি।

সেই ছবি নিয়েই এবার আরও একটি অজানা ঘটনা শোনালেন মিউজিক কম্পোজার দেবজ্যোতি মিশ্র। প্রদীপ সরকারকে বছরের পর বছর ধরে চিনতেন দেবজ্যোতি মিশ্র। তিনিই প্রদীপের প্রয়াণের পর সাংবাদিকদের জানালেন, ব্যাপক সমালোচনা শোনা সত্ত্বেও প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষের একটি ফোন কল সেই সময়ে প্রদীপকে দারুণ উৎসাহ দিয়েছিল। তিনি বলেন, “যেহেতু আমি দুজনেরই খুব কাছের মানুষ ছিলাম, ‘পরিণীতা’ দেখার পর আমার এখনও মনে আছে, ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রদীপ সরকারকে ডেকেছিলেন এবং তাঁর কথাগুলি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিল যেটি প্রদীপের জন্য সেই সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

দেবজ্যোতি আরও বলেন, ‘এটি (পরিণীতা) ছিল প্রদীপ সরকারের প্রথম পরিচালনা এবং এই ধরনের তারকা কাস্টের সাথে এটি একটি বড়সড় প্রোজেক্ট ছিল। তাই এটি একটি বড় চুক্তি ছিল। ঋতুপর্ণ প্রদীপ সরকারকে ডেকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তিনি সত্যিই ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। যদিও দেয়াল ভাঙার দৃশ্যটি বাস্তবিকভাবে উপন্যাসে ছিল না, কিন্তু শরৎবাবু তা রূপক অর্থে বলেছিলেন। ঋতুপর্ণের প্রশংসায় সেসময়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন প্রদীপ সরকার। এটি তার জন্য অনেক বড় আশ্বাস ছিল যে, ছবিটি সত্যিই ভীষণভাবে সফল।’

এই ছবিটি সম্পর্কে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত পরিচালক জানিয়েছেন আরেকটি চমৎকার ঘটনাও। সেটি হল 'পরিণীতা' সিনেমায় ঝাঁ চকচকে রেখার মনমোহিনী ‘ক্যায়সি ইয়ে পহেলি’ নাচ। দেবজ্যোতি বলেন, এই গানটার সাথে নাচার জন্য যখন অভিনেত্রীদের নাম ভাবা হচ্ছিল, তখন বিধু বিনোদ চোপড়াই প্রথম বলেছিলেন রেখা-র কথা। তাঁর পরামর্শ মতো প্রদীপ সরকার যখন নিজের টিম নিয়ে রেখার বাড়িতে এই গানে নাচার প্রস্তাবটি দিতে গেলেন, রেখা প্রথমে তাঁর কাছে পুরো বিষয়টি শুনলেন এবং সবাই যখন ‘কী হবে’, ‘কী হবে’ ভেবে নখ কামড়াচ্ছে, তখন একেবারে ১ ঘণ্টার মধ্যেই রেখা বলে দিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ। আমি এই কাজটা করব।’ এরপর‘ক্যায়সি ইয়ে পহেলি’-র আগে রেখাই নিজের গ্লাভসের ডিজাইন করেছিলেন, নিজেই মেকআপ করেছিলেন চুল বেঁধেছিলেন এবং তারপর যা হয়েছিল, ভারতীয় সিনেমায় তা একটা মনে রাখার মতো ইতিহাস।

ভারতীয় সিনেমায় পরিচালক প্রদীপ সরকারের অবদান বলতে গিয়ে দেবজ্যোতির মত, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর প্রধান অবদান ছিল, আধুনিক ভারতীয় নারীকে সংবেদনশীল এবং সংক্ষিপ্ত আকারে ফুটিয়ে তোলা, যা অতীত এবং বর্তমান, দুইয়েরই ভারসাম্য রক্ষা করে।’

আরও পড়ুন-

ভালোবাসার ফাঁদে পড়েই খোয়া যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, খাস কলকাতায় ধরা পড়ল অনলাইন ডেটিং চক্র

পালিয়ে যাওয়ার পরের রাতে এক মহিলার বাড়িতে ছিলেন অমৃতপাল সিং, ‘এক্ষুণি আত্মসমর্পণ করা উচিত’, বলছেন তাঁর বাবা
অখিলেশ যাদব, নবীন পট্টনায়কের পর কুমারাস্বামীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কতটা শক্তিশালী হবে তৃতীয় মোর্চা?