সংক্ষিপ্ত

'পুষ্পা ২' প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু! এবার আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

হায়দরাবাদে সন্ধ্যা থিয়েটারে 'পুষ্পা ২'-এর প্রিমিয়ার চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিনেতা আল্লু অর্জুনের নাম রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৪ ডিসেম্বর। 'পুষ্পা ২'-এর প্রিমিয়ার চলাকালীন রেবতী নামে ৩৫ বছরের এক মহিলার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এবং তাঁর ১৩ বছরের ছেলে গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সেন্ট্রাল জোনের ডিসিপি আকাঙ্ক্ষা যাদব জানিয়েছেন, পুষ্পা ২ সিনেমার ইউনিট, প্রধান অভিনেতা আল্লু অর্জুন, সন্ধ্যা থিয়েটারের মালিক এবং আল্লু অর্জুনের নিরাপত্তা দলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং ১১৮(১) (আঘাত করার শাস্তি) ধারায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

দিলসুখনগরের বাসিন্দা রেবতী ও তাঁর স্বামী ভাস্কর এবং তাঁদের দুই সন্তান শ্রী তেজ (১৩) ও সানভিকাকে (৭) নিয়ে ছবির প্রিমিয়ারে এসেছিলেন। আল্লু অর্জুনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, যার ফলে একাধিক জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সিনেমাটি দেখতে এবং সিনেমার প্রধান অভিনেতাদের প্রেক্ষাগৃহে আসার এক ঝলক দেখার আশায় প্রচুর ভিড় জমেছিল। তবে থিয়েটার ম্যানেজমেন্ট বা শিল্পীদের পক্ষ থেকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি যে তাঁরা থিয়েটারে আসবেন। ভিড় সামলাতে থিয়েটার কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার বিষয়ে বাড়তি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

হায়দরাবাদের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন," থিয়েটার কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের আগমনের খবর থাকলেও অভিনেতাদের দলের জন্য আলাদা করে কোনও প্রবেশ করার বা প্রস্থানের জায়গা ছিল না।"

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "আল্লু অর্জুন তাঁর ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ে সিনেমা হলে পৌঁছেছিলেন এবং সেখানে জড়ো হওয়া সমস্ত লোক তাঁর সাথে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তার ব্যক্তিগত সুরক্ষা দল জনসাধারণকে চাপ দিতে শুরু করে যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে কারণ থিয়েটারে ইতিমধ্যে প্রচুর জমায়েত ছিল। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিনেতা ও তাঁর নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে লোয়ার ব্যালকনি এরিয়ায় ঢুকে পড়েন বহু মানুষ। এতে রেবতী নামে এক ব্যক্তি এবং তার ১৩ বছর বয়সী ছেলের ব্যাপক জনস্রোতের কারণে দমবন্ধ হয়ে আসে।

হট্টগোলের সময় রেবতী ও তার ছেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং তাদের দ্রুত বিদ্যানগরের দুর্গা ভাই দেশমুখ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রেবতীকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং শ্রী তেজকে পরে তার গুরুতর অবস্থার কারণে বেগমপেটের কেআইএমএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশের চেষ্টা সত্ত্বেও প্রেক্ষাগৃহের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্র মারফত।