সংক্ষিপ্ত

 রাহার বাবা রণবীর কাপুর তিন মাসের একরত্তির কথা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি ওর ঢেকুর তোলানোর দায়িত্বে রয়েছি। তবে এর আগে জানতাম না বাচ্চাদের ঢেকুর তোলাটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ।যতক্ষণ বাড়িতে থাকি, ততক্ষণই ওর সঙ্গেই থাকি। 

রণবীর কাপুর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়- এই মুহূর্তে বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই এই দুটো নাম নিয়েই জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এই মুহূ্র্তে রণবীরের সামনে একটাই প্রশ্ন, তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়েপিকে অভিনয় করছেন কিনা। রবিবার অভিনেতার আপকামিং ছবি তু ঝুটি ম্যায় মক্কর-এর প্রচারে আসেন রণবীর কাপুর। তবে শোনা যাচ্ছে সৌরভের বায়োপিক এবং ছবির প্রচারে দুই কাজই সারতে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেতা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠরে রণবীর কাপুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়।

সাংবাদিক বৈঠকে রণবীর কাপুর এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে একসঙ্গে দেখার পর থেকে বায়োপিক নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। এই প্রশ্নের উত্তরে রণবীর সাফ জানিয়েছেন,আমাকে এখনও পর্যন্ত সৌরভের বায়োপিকের জন্যও কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তু ঝুটি ম্যায় মক্কর-এর প্রচারে রবিবার কলকাতায় ঝটিকা সফরে এসে রণবীর কাপুর ইডেন গার্ডেনসেও বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছেন, তারপর থেকেই জল্পনা আরও বেড়েছে।

রণবীর জানিয়েছন, দাদ একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে। তাই ওনার বায়োপিকে কাজ করাটা বড় একটা কাজ। যদিও সেই অফার আমি পাইনি। তাই আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না। তবে গত ১১ বছর ঘরে আমি অনুরাগ বসুর কিশোর কুমারের বায়োপিকের উপর কাজ করছি, যেটা আমার পরের বায়োপিক হবে। খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে । ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম সফল অধিনায়ক ও প্রশাসক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী দেখতে সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন। তবে সৌরভের চরিত্রে কে অভিনয় করছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক অভিনয় করতে গেলে যে একাধিক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, তা বেশ ভালমতোই টের পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর, পাকাপাকি ভাবে সৌরভের চরিত্রে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর। যদিও অভিনেতা তা স্বীকার করেননি।মেয়ে রাহার বাবা রণবীর কাপুর তিন মাসের একরত্তির কথা সাক্ষাৎকারে বলেছেন। বাবা হওয়ার অনুভূতিটা সবথেকে সুন্দর। আমি চাই সবাই একবার অন্তত এই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাক। আমার মেয়ের বয়স সবেমাত্র তিন মাস। দু সপ্তাহ হল সে হাসতে শিখেছে। ওর হাসি আমাকে মন গলিয়ে দেয়। এখানে আসার আগে মাত্র কুড়ি মিনিট ওর সঙ্গে কাটাতে পেরেছি, তাতেই আমার মন ভাল হয়ে গেছে। আমি ওর ঢেকুর তোলানোর দায়িত্বে রয়েছি। তবে এর আগে জানতাম না বাচ্চাদের ঢেকুর তোলাটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে যতক্ষণ বাড়িতে থাকি, ততক্ষণই ওর সঙ্গেই থাকি। ওর সঙ্গে থাকলে সমস্ত কিছুকে ভুলে থাকতে পারি।