সংক্ষিপ্ত
রানি মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তার এই সিনেমা মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে-র চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি তার মায়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।একজন মায়ের বাস্তবের লড়াইয়ের কাহিনি চোখে জল এনে দিয়েছে ভক্তদের।
বলিউডের মর্দানি অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তাকে নিয়ে চর্চা হবে নাই বা কেন। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে রানির মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবি। ছবির ট্রেলারেই চোখ আটকে গিয়েছিল দর্শকদের, তারপর থেকে ছবি নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনাও তুঙ্গে ছিল। তবে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সকলের মন জিতে নিয়েছেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। একজন মায়ের বাস্তবের লড়াইয়ের কাহিনি চোখে জল এনে দিয়েছে ভক্তদের।
রানি মুখোপাধ্যায় নিজেও দাবি করেছেন যে তার এই সিনেমা মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে-র চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি তার মায়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। মেরে বাবা কি মারুতি খ্যাত আশিমা চিব্বর পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি সমগ্র জাতির বিরুদ্ধে তার সংগ্রামে একজন মায়ের যাত্রার গল্প বলেছে। মূলত সিনেমাটি এনআরআই দম্পতি সাগরিকা এবং অনুরূপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে জড়িত একটি বাস্তব জীবনের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে,যেখানে শিশুদের অধিকার এবং মানবাধিকারের বিশ্বকে হতবাক করেছিল। সিনেমাটি তৈরি হওয়ার সময় সাগরিকার সঙ্গে দেখা না হওয়া সত্ত্বেও, রানি দাবি করেছিলেন যে তার চরিত্রটির সংস্করণটি তার মা, কৃষ্ণা মুখার্জির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। অভিনেত্রী আরও বলেন,একজন অভিনেত্রী হিসাবে, আমি চরিত্রটির জন্য আমার ব্যাখ্যা হতে চেয়েছিলাম। আমি খুব বেশি কিছু চাইনি এবং লোকেরা আমার ভূমিকা এবং প্রকৃত ব্যক্তির মধ্যে মিল খুঁজে বার করুন।
রানি মুখোপাধ্য়ায় আরও বলেন, আশিমার কাছে সাগরিকার অনেক টেপ রেকর্ড করা ছিল এবং আমি সেগুলি দেখেছি কিছু রেফারেন্সের জন্য,কিন্তু বাকি অন্যান্য চরিত্রটি আসলে আমার মায়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তিনি আমার পরিচিত সবচেয়ে বাঙালি ব্যক্তি যিনি নিজের হাতে আমাদের ফিডিং করিয়েছেন এবং আমাদের গায়ে টিক্কাও দিয়েছেন।আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শক্তি এবং সমস্ত অনুপ্রেরণা পেয়েছি। অভিনেতা এবং প্রযোজক নিখিল আদবানি পরিচালক করণ জোহরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। রানি আরও দাবি করেছেন যে নিখিল তার কাছে যাওয়ার আগে তাকে তার এক লাইনের স্ক্রিপ্ট না করার সুযোগ দেয়নি। আমি নিখিলকে বলেছিলাম যে সে আমার ক্ষোভ সামলাতে পারবে না। কিন্তু নিখিল আমার সব শর্তে রাজি হয়েছিলেন এবং আমাকে ছবিতে না বলার কোনও সুযোগ দেননি তিনি। ৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী পরিচালক আশিমার প্রশংসা করে বলেছেন, পরবর্তীটি বিষয়টি সম্পর্কে ভীষণ উৎসাহী এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ অধ্যয়ন করেছেন। যখন আমি আশিমার সাথে কথা বলেছিলাম, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তিনি গল্পটি সম্পর্কে খুব উত্সাহী ছিলেন কারণ তিনি সাগরিকার সঙ্গে আগেই কথা বলেছিলেন এবং তিনি বিষয়টির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এবং তার সেই প্রেম চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়। এবং সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে সন্তানদের নিজের কাছে ফেরানোর গল্পই বলছে মিসেস চ্যাটার্জি।