সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান ফিল্মমেকার সুরেশ জিন্দল। দীর্ঘ একমাস ধরেই দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল সুরেশের। একের পর এক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছিল সত্যজিৎ রায়ের 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি' ছবির প্রযোজক সুরেশ জিন্দলের।
ফের নক্ষত্রপতন। চলে গেলেন ফিল্মমেকার সুরেশ জিন্দল। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান ফিল্মমেকার সুরেশ জিন্দল। দীর্ঘ একমাস ধরেই দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল সুরেশের। তবু শেষমেষ আর শেষরক্ষা হল না। একের পর এক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছিল সত্যজিৎ রায়ের' শতরঞ্জ কে খিলাড়ি' ছবির প্রযোজক সুরেশ জিন্দলের। অবশেষে গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সুরেশ জিন্দল। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছিল বিনোদন জগতে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। গোটা ইন্ডাস্ট্রি তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন।
এই বছরটাও মোটেই ভাল কাটছে না। একের পর এক দুঃসংবাদ। একে একে সকলেই ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তার বিরাট অবদান রয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সমান্তরাল ধারার ছবির বিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন সুরেশ জিন্দল। কিংবদন্তী পরিচালক সত্যিজিৎ রায়ের একমাত্র হিন্দি ছবি শতরঞ্জ কে খিলাড়ি (১৯৭৭) ছবির প্রযোজক তিলেন তিনি। অস্কার জয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা এতটাই মধুর ছিল তা নিয়ে একটি বইও লিখেছিলেন সুরেশ জিন্দল। বইটির নাম- মাই অ্যাডভেঞ্চার উইথ সত্যজিৎ রায়-মেকিং অফ শতরঞ্জ কে খিলাড়ি। এছাড়া রজনীগন্ধা (১৯৭৪), কথা (১৯৮২) ছবিরও প্রযোজনা করেছিলেন সুরেশ জিন্দল।
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তের সুখস্মৃতি বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছিলেন তিনি। সত্তরের দশকের নতুন প্রযোজকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুরেশ জিন্দল। সত্যজিতের মতো পরিচালকের সান্নধ্য তাকে কতটা ধন্য করেছিল তাও কলমবন্দি করেছিলেন তিনি। আসলে কিংবদন্তী সত্যজিৎ রায়ই সিনেমা নিয়ে তার জীবনাদর্শন বদলে দিয়েছিস-এমনটাই মনে করতেন সুরেশ। সিনেমা ছোট থেকেই তাকে আকর্ষণ করত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোন, বিদেশে চাকরি করেও মন পড়ে থাকত সিনেমায়। অস্কার জয়ী সিনেমা গান্ধী (১৯৮২) সঙ্গেও জড়িয়েছিল সুরেশ জিন্দলের নাম। দিল্লিতে নিজের মতোই থাকতেন বর্ষীয়ান প্রযোজক। বলিউড থেকে একটু দূরে সরিয়েই রাখতেন নিজেকে। এমনকী পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি বহুবারল কথা ছবির স্বত্ত্ব কেনার চেষ্টা করেছিলেন সুরেশের থেকে তা কোনওবার হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে সুরেশ জিন্দলের মৃত্যুর খবর আপনাদের জানাচ্ছি। আমাদের হৃদয়ে আজীবন থাকবেন। লোধি শ্মশানঘাটে শুক্রবার ওনার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বিনোদন জগতে। সুরেশের মৃত্যুতে বিনোদন জগতের বড় ক্ষতি।