সংক্ষিপ্ত

১৯৯২ সালে 'দিওয়ানা' ছবি দিয়েই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন শাহরুখ খান। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি, তিনি এখন বলিউডের 'বেতাজ বাদশা'। সেদিনের যুবক, হ্যান্ডসাম, সার্কাস থেকে উঠে আসা ছেলেটি আজ বলিউড তথা সারা বিশ্বের সুপারস্টার।

১৯৮৯ সালে 'ফৌজি' নামে টেলিভিশন ধারবাহিক দিয়েই কেরিয়ারের শুরু, তারপরেই সার্কাস। ১৯৯১ সালে মা মারা যাওয়ার পরই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দিল্লি থেকে মুম্বই পাড়ি দেন ১৯৯২ সালে 'দিওয়ানা' ছবি দিয়েই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন শাহরুখ খান। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি, তিনি এখন বলিউডের 'বেতাজ বাদশা'। দেখতে দেখতে কেটে গেল এত গুলি বছর। যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। সেদিনের যুবক, হ্যান্ডসাম, সার্কাস থেকে উঠে আসা ছেলেটি আজ বলিউড তথা সারা বিশ্বের সুপারস্টার।

৫৭-তে পা দিলেন শাহরুখ খান। ঘড়ির কাটা ১২ টা পেরোতেই শুভেচ্ছায় ভরে গিয়েছে অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। পাশাপাশি মন্নতের সামনেও উপচে পড়েছে ভিড়। কাছ থেকে প্রিয় অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভক্তদের ঢল নেমেছে আরব সাগরের তীরে। রাত ১২ টা বাজতেই নিজের আইকনিক স্টাইলে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন শাহরুখ খান ।বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানকে নিয়েই দর্শকমনেই সবসময়েই উত্তেজনা রয়েছে। শাহরুখ মানেই টানটান উত্তেজনা। নিজের ভালবাসাকে খুঁজে বের করতে গিয়ে দিল্লীর গলি থেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে। আর সেখান থেকে আজ তিনি বলিউডের বাদশা। তার ফ্রেশ লুক, মাঝখানে সিথি করা চুলের স্টাইল, গালে টোল, আর প্রাণখোলা হাসি ঝড় তুলেছিল বলি ইন্ডাস্ট্রিতে।

 

 

ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করলেও বড়পর্দায় নিজের ছাপ রেখেছেন তিনি। একের পর এক ছবিতে নিজের বেস্টটা দিয়েছেন প্রত্যেককে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ছবির চরিত্র তাকে আলাদা করে মনে রাখিয়েছে দর্শকদের। বিভিন্ন শেড নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছেন শাহরুখ। যেমন সালটা ২০০০। 'জোশ' সিনেমাতে নেগেটিভ শেডে দেখা গিয়েছিল শাহরুখকে। মাথায় ব্যান্ড পরে অন্য লুকে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে যা স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে দাড়ায়। খুব বেশি ছবিতে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় না করলেও যে কটি করেছেন তাতেই তিনি সুপারহিটের তকমা পেয়েছেন। 'ডন টু' ছবিতেও নেগেটিভ চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন শাহরুখ। তার লম্বা চুল, চুরুটের স্টাইল, আর অসাধারণ ডায়লগে মাত করেছিলেন আট থেকে অষ্টাদশীকে।

 

 

২০০১ সালে পিরিয়ড ড্রামা 'অশোকা' ছবিতে নিজেকে নিয়ে প্রচুর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই তিনি সফল। তার চুলের স্টাইল, চোখের ভঙ্গি, অভিনয় দক্ষতা তাকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের চূড়ায়। ঠিক তেমনই 'চক দে ইন্ডিয়া' ছবিতে হকি কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। 'রা ওয়ান' ছবিতেও তার রোবোটিক লুকস, তীক্ষ্ণ অভিনয়ের ছাপ ফেলেছিল দর্শকমনে। আবার বামন সেজেও সবার মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। ভূতের ছবি 'পহেলি'-তেও মিষ্টি প্রেমকাহিনি মনে ধরেছিল দর্শকদের। এছাড়াও 'রব নে বনা দি জোড়ি'র সেই সাধারণ বোকা চরিত্রও একটা আইডল করে রেখেছে শাহরুখকে। যদিও এর আগে এরকম গোফের স্টাইলে বহুবার দেখা গেছে শাহরুখকে। আর ঠিক এইরকম ভাবেই প্রতিটি ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতা, ফ্যাশন, স্টাইল, পারফেকশন দিয়ে একটা ছাপ ফেলেছেন যা আজও দর্শকদের হৃদয়ের মণিকোঠায় গেথে রয়েছে।

সহবাসের নেশায় নয় বরং নিজের এই দোষেই তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন শাহরুখ,পরিণতি ভয়ঙ্কর

লাল বিকিনিতে উন্মুক্ত বিভাজিকা, 'ড্রিম গার্ল'গৌরীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর কল্পনা কি আদৌ সত্যি হয়েছিল শাহরুখের?