সংক্ষিপ্ত
২৭ ফেব্রুয়ারি শুটিং সেটে ছিলেন সুস্মিতা। কাজের ফাঁকে অভিনেত্রী জানান বুকে ব্যথা হচ্ছে, এবং শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শেই তড়িঘড়ি করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুস্মিতাক। তারপরেই তড়িঘড়ি করেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়।
প্রাক্তন ব্রহ্মান্ডসুন্দরী সুস্মিতা সেনকে নিয়ে দিনভর চর্চা চলেই আসছে। হার্ট অ্যাটাকের খবর জানিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন অভিনেত্রী। কঠোর নিয়মের মধ্যে থেকেও রেহাই পেলেন না ৪৭-এর সুস্মিতা সেন। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে,হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। এত কিছু ঘটনা কেউই টের পাইনি। ঘটনার দুদিন পর অভিনেত্রী নিজের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে এনেছেন সুস্থতা। তবে আগের থেকে তিনি ভাল আছেন এই খবর জানিয়ে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তবে কীভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন, ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন, তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি শুটিং সেটে ছিলেন সুস্মিতা সেন। কাজের ফাঁকে অভিনেত্রী জানান বুকে ব্যথা হচ্ছে, এবং শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই একজন চিকিৎসককে দিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় অভিনেত্রীর, চিকিৎসকের পরামর্শেই তড়িঘড়ি করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুস্মিতাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তাকে দেখে জানান, এই মুহূর্তে অস্ত্রোপচার আবশ্যক। তার পরেই তড়িঘড়ি করেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়। মুম্বইয়ের নানবতী হাসপাতালেই হার্টের অস্ত্রোপচার করা হয় সুস্মিতার। তারপর একদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ১ লা মার্চ ছুটি নিয়ে বাড়ি যান সুস্মিতা। আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বিশ্রামে রয়েছেন অভিনেত্রী। তবে খুব বেশিদিন যে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার পাত্রী নন, তা সকলেই জানেন। শীঘ্রই আরিয়া-র শুটিংয়ে ফিরে আসবেন অভিনেত্রী।
বয়স ২০ হোক আর ৪০, বয়সকে তুড়ি মেরে যে কোনও রোগ জাকিয়ে বসছে শরীরে। কোনও কিছু না বোঝার আগেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। শুধুমাত্র বয়স্কদেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এই ধারণা এখন অতীত। যত দিন যাচ্ছে, অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সের মানুষকেই নিমেষে কাবু করে দিচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে যে ক্ষয় হচ্ছ, আর্টারি ব্লক হচ্ছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হার্টকে কাবু করার আগে যে একেবারেই তা জানান দেয় না, তেমনটাও নয়, তবে বেশিরভাগ সময় সেই লক্ষণ আমরা বুঝতেই পারি না। আবার কখনও বুঝতে পারলেও সামান্য ট্রিটমেন্ট করে থেমে যাই আমরা। তবে এটাও ঠিক সাময়িকভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলে ভিতরে ভিতরে বাড়তে থাকে বিপদের ঝুঁকি।