সংক্ষিপ্ত
বিতর্কিত পরিস্থিতিতেই ১৯৯৬ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন শ্রী। ২৪ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শ্রীদেবী।
সালটা ২০১৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শ্রীদেবী। আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে অভিনেত্রীর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। আজ বেঁচে না থাকলেও সবার মনে তিনি বেঁচে রয়েছেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুটা যেন বড্ডই আকস্মিক। শ্রী-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচ পাঁচটা বছর। শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব।
শ্রীদেবীর কাকা ভেনুগোপাল রেড্ডি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, শ্রীদেবী নিজে অনেক দুঃখ নিয়ে মারা গেছেন। কের পর এক প্রশ্ন উঠে আসছিল তার হঠাৎ মৃত্যু নিয়ে। ঠিক সেই সময়েই নীরবতা ভেঙেছিলেন শ্রীদেবীর কাকা ভেনুগোপাল রেড্ডি। সাক্ষাৎকারে ভেনুগেপাল জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রী মৃত্যর সময় অনেক কষ্ট নিয়ে মারা গেছিলেন। একটি সিনেমায় বনি কাপুর প্রচুর অর্থ হারিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বড়সড় আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন বনি। সেই আর্থিক সঙ্কট মেটাতে শ্রীদেবীর অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন বনি। শ্রীদেবীর মনে সেই নিয়ে গভীর ব্যথা ছিল। শ্রী কখনওই নিজের দুঃখকে প্রকাশ করেননি। বরং হাসিমুখেই সবটা উজার করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই হাসির পিছনেই লুকিয়ে ছিল গভীর যন্ত্রণা।, বনি এমন একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছিল যা সেই সময়ে হিটের তকমা পায়নি। তাই বনির কারণেই আবারও চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন শ্রীদেবী।
সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, বিতর্কিত পরিস্থিতিতেই ১৯৯৬ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন শ্রী। বলিউডের চাঁদনি শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ার আগেই বিবাহিত ছিলেন বলি পরিচালক বনি কাপুর। তবে শুধু বিবাহিতই নন, দুই সন্তান অর্জুন কাপুর ও অনুষা কাপুরের বাবাও ছিলেন বনি। শ্রীদেবী পাওয়ার জন্য মোনা কাপুরকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বনি। শুধু তাই নয়, দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে ছেড়ে শ্রী এর সঙ্গে ঘর শুরু করেছিলেন বনি কাপুর। সূত্র থেকে জানা গেছে, শ্রীদেবী প্রথমে বনির প্রেমে পড়েন নি। কিন্তু শ্রী-কে আকর্ষিত করতেই তার কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলেন বনি। একবার শ্রীদেবীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এবং সেই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থও শ্রীদেবীর কাছে ছিল না। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন বনি। সবরকম ভাবেই আর্থিক সহায়তা থেকে শ্রী-এর মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বনি। তারপরেই তাদের সম্পর্ক আরও গভীরে পৌঁছেছিল। ১৯৯৩ সালে বনি শ্রী-কে প্রোপোজ করেছিল। এবং প্রোপোজ করার সময়ও ভীষণ চিন্তিত ছিল। শ্রী-কে প্রথম ভালবাসার কথা বলায় ভীষণ রেগেছিলেন অভিনেত্রী এবং প্রায় ৮ মাস কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার সময় শ্রী একটি হোটেলে ছিলেন। তখন অভিনেত্রীর মাকে বলে শ্রীকে বনির বাড়িতে পাঠানোর জন্য রাজি করান। মোনা যেহেতু শ্রী-এর ভাল বন্ধু ছিল সেক্ষেত্রে রূপ কি রানি চোরো কা রাজা ছবির সময়টাকে ১ মাস বনির বাড়িতে ছিলেন শ্রী। সালটা ১৯৯৬। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন শ্রী। এই খবর শুনেই হতবাক হয়েছিলেন মোনা। ১৯৯৬ সালে জাহ্নবী কাপুরের জন্ম হয়েছিল। তখনও মোনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে ছিলেন বনি। তারপর ২০১২ সালে মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর হয়ে মারা যান মোনা। একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী জানিয়েছিলেন, যখন আমি তার সত্যিটা জেনেছিলাম তখনই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম বনির। যদিও এটা খুবই কঠিন ও বেদনাদায়ক ছিল তবে শেষ পর্যন্ত বনির সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা মেনে নিতে অনেক বছর সময় লেগেছিল।