সংক্ষিপ্ত
গতকাল সারাদিন ধরে রিচা চাড্ডার টুইট নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ভারতীয় সেনাকে অপমান করাতেই চরম সমালোচনার শিকার হতে হয় রিচাকে। সকলেই অভিনেত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। এমনকী বিজেপির এক নেতাও এই নিয়ে টুইট করতে ছাড়েননি। শেষমেষ ক্ষমা চান রিচা চাড্ডা।
বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা যেন কোনওসময়েই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চান না। কোনও না কোনও কারণে বিতর্কে উঠে আসে অভিনেত্রীর নাম। গতকাল সারাদিন ধরে রিচা চাড্ডার টুইট নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ভারতীয় সেনাকে অপমান করাতেই চরম সমালোচনার শিকার হতে হয় রিচাকে। অন্যদিকে সেনা পরিবারের সদস্য হয়েও এরকম একটা কান্ড কীভাবে তিনি ঘটাতে পারেন, তা নিয়ে ট্রোলড হয়েছেন নায়িকা। রিচার টুইট দেখা মাত্রই ক্ষোভ ফেটে পড়েন নেটিজেনদের একাংশ। সকলেই অভিনেত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। এমনকী বিজেপির এক নেতাও এই নিয়ে টুইট করতে ছাড়েননি। শেষমেষ ক্ষমা চান রিচা চাড্ডা।
কী নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত? পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ফের দখল নেওয়া হবে কয়েকদিন আগেই বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজনাথ নিং। পাকিস্তান পিওকে-তে যা করেছে তার মূল্য দিতে হবে। কাশ্মীরের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত থামা হবে না যতক্ষণ না গিলগিট-বাল্টিস্থানে পৌঁছানো হচ্ছে। এই টুইটে দেখার পর নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, যদি ভারতীয় আর্মির কথা ধরা হয় তাহলে তারা তৈরি সরকারের থেকে আসা যে কোনও নির্দেশ পালন করতে। যখনই এরকম কোন নির্দেশ আসবে আমরাও তৈরি থাকব। ভারতীয় সেনা দুই দেশের স্বার্থেই সীমান্তে শান্তি রাখার চেষ্টা করে শুধু তাই নয় সবসময় সব শর্ত মেনে চলে। তবে তা ভাঙলে মুখের মতো জবাব দিতেও ভয় পান না। এই শেষের টুইট শেয়ার করেই রিচা টুইটে লিখেছিলেন, গালওয়ান বলছে হাই! রিচার এই টুইট দেখেই রেগে আগুন হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
অভিনেত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলার পর শেষেমেষ ক্ষমাও চান রিচা চাড্ডা। ক্ষমা চাওয়ার পর তিনি এও বলেন, তার বলা তিনটে কথা কখওনই ভারতীয় আর্মিকে আঘাত করার জন্য বলা হয়নি। সঙ্গে এও বলেন তিনিও সেনা পরিবারেই একজন। ক্ষমা চেয়ে টুইটে রিচা লেখেন, যদিও এটা আমার কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না। তবে এই নিয়ে এত যখন বিতর্ক হচ্ছে এবং যদি মনে হয় আমি আঘাত করেছি তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি আপনাদের বলছি আমার কথা বলা যদি কোনও ভারতীয় সেনাকে, ফৌজি ভাইদের অপমান করে, যাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমার নানাজি ছিল তাহলে আমি সবচেয়ে বেশি আঘাত পাব। নানা একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে ইন্দো-চায়না যুদ্ধে পায়ে গুলি খেয়েছে। এবং আমার মামা ছিলেন প্যারাট্রুপার, সুতরাং এটা আমার রক্তে আছে। কোনও ছেলে শহিদ হলে বা আহত হলে একটা গোটা পরিবার যখন আঘাত পায়, আমি জানি কষ্টটা তখন কী হয়, এটা অত্যন্ত আবেগের একটা বিষয় আমার কাছে। রিচার ক্ষমা চাওয়ার পর বিষয়টি থামলেও টুইট নিয়ে জলঘোলা কমছে না।