সংক্ষিপ্ত

কেকে-র ম্যানেজার হিতেশ জানিয়েছেন অসুস্থ ছিলেন কেকে। ঘরে ঢোকার পরই সোফায় বসতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়ে যান। মাথায় চোট পান। তাঁর চিৎকারে প্রচুর হোটেলের কর্মীরা ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরেও তাঁর চলে যাওয়া মেনেনিতে পারছেন না কেকে-র অনুগামীরা। তাঁর ভক্তজন এখনও হতাশ। মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। তারই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে কেকে নিউমার্কেটের যে বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন তারই লবির সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে কেকে-রে হেঁটে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। 

নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলিউড সিঙ্গার কেকে। তারপরই তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে লিফটের কাছে রয়েছে তিনি। সঙ্গে তাঁর ম্যানেটার হিতেশ ভাট ছিলেন। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে যে পোশাক পরে ছিলেন সেই পোশাকই রয়েছে। ঘাড়ে সাদা তোয়ালে- এই তোয়ালে দিয়েই তিনি বারবার ঘাম মুছেছিলেন অনুষ্ঠান চলাকালীন। তিনি হেঁটেই যাচ্ছেন। হাঁটার মধ্য়ে তেমন কোনও অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়েনি। 

কেকে-র ম্যানেজার হিতেশ জানিয়েছেন অসুস্থ ছিলেন কেকে। ঘরে ঢোকার পরই সোফায় বসতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়ে যান। মাথায় চোট পান। তাঁর চিৎকারে প্রচুর হোটেলের কর্মীরা ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। একবালপুরের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় হতে দেরী হচ্ছে দেখে ম্যানেজার  রিতেশ ভাট কেকে-কে গাড়ি করে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। 

অন্যদিকে বলিউড সিঙ্গার কেকে-র পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট কোনও অসঙ্গতি নেই। রিপোর্টে মৃত্যুর কোনও রহস্যের কথা উল্লেখ করা হয়নি। নাড়ি খুজে না পাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে। তেমনই জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে পরবর্তীকালে আরও বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হবে। লাভই কনসার্টের সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তাঁর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। যদিও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সেই তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে। কেকে-র লাইভ কনসার্ট ছিল নজরুল মঞ্চে। সরকারি এই মঞ্চের অব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে অভিযোগ।  তাতে অনেকটাই স্বস্ত দিল কেকে-র পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট। 

নজরুল মঞ্চে ছিল কেকে বা কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের অনুষ্ঠান কেন্দ্র। কিন্তু সেই কেন্দ্র এসি মেশিন খারাপ ছিল। যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্বয়ং  গায়ক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন তিনি মঞ্চেই যে অস্বস্তি বোধ করছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল তাঁর আচরণ। কারণ একটা করে গান গেয়েই তিনি জল পান করছিলেন- যা সচারচর কোনও শিল্পী করেন না। তাতে গলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।