সংক্ষিপ্ত
- নুসরতের নামে ফতোয়া জারি
- প্রশ্ন উঠল সিঁদুর মঙ্গলসূত্রকে ঘিরে
- প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন দেব-তাসলিমা
- পোশাকে নয়, তার কাজের দিকে নজর দেওয়া হক, আবেদল ঘাটাল সাংসদের
একের পর এক প্রশ্নের সন্মুখীন সাংসদ নুসরত জাহান। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভোটের টিকিট হাতে হাওয়ার পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। নায়িকার বিভিন্ন পোশাকের ছবিসহ মিম ছড়াতে শুরু করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। ক্ষোভ নয়, শান্ত ভাবেই তখন উত্তর দিয়েছিলেন নায়িকা, যারা এগুলো বলে বা করে আনন্দ পাচ্ছে তারা করুক। তাতে নুসরতের ভাবমূর্তি কোথাও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না। এরপর বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। আবার প্রশ্নের মুখমুখির পালা, সংসদে প্রথম দিন সাবেকি পোশাক নয় কেন, তা নিয়ে নানা জনের নানা মতামত। সেই ঝড় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে থামতে না থামতেই এবার প্রকাশ্যে এল নতুন সমস্যা, কারণ সিঁদুর।
বিয়েরপর পার্লামেন্ট-এ গিয়ে শপথ নিলেন নুসরত, সঙ্গে ছিলেন মিমি চক্রবর্তীও। বিয়ের পরই চুড়া ও সিন্দুর পরে পার্লামেন্ট-এ প্রবেশ করেন তিনি। এক দিকে যেমন তার সৃষ্ঠাচার নিয়ে প্রশংসিত হন তিনি, তেমনই অপর দিকে নেটিজেনদের নজর কাড়ে নুসরতের সিথিতে সিঁদুর কেন! শুধু তাই নয়, সিঁদুর পরে শপথ গ্রহণ, সঙ্গে আবার বন্দেমাতরম, জয় হিন্দ বলে শপথ পাঠ শেষ করা, তরিঘড়ি ফতোয়া জারি হল নুসরতের নামে।
এবার এই ঘটনায় তার পাশে এসে দাঁড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি জানান, নুসরত জাহান একজন মুসলিম, বিয়ে করলেন হিন্দুমতে নিখিল জৈনকে। ধর্ম বদলালনি কেউই। দুজন ভিন্ন ধর্মের মানুষ কেবলই বিশ্বাস রেখে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বেশ করেছেন। অন্য দিকে সাংসদ দেব প্রশ্ন তোলেন কেন নুসরতকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সিঁদুর বা মঙ্গলসূত্র পরার জন্য! এটা তার জীবন, তার ব্যক্তিগত স্বাধিনতা আছে, সে কী পরবে, কীভাবে চলবে তার ঠিক করে দেবে কে! তার থেকে বরং নুসরত সাংসদ হিসেবে কেমন কাজ করছে তা আলোচ্য বিষয় হওয়া একান্ত প্রয়োজন।