সংক্ষিপ্ত
পঞ্জাবী গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুশেওয়ালা হত্যা তদন্তে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুশেওয়ালাকে হত্যাকারী গ্যাংস্টার লোরেন্স বিষ্ণোইর দলের টার্গেট ছিল বলিউড সুপারস্টার সলমন খান।
পঞ্জাবী গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুশেওয়ালা হত্যা তদন্তে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুশেওয়ালাকে হত্যাকারী গ্যাংস্টার লোরেন্স বিষ্ণোইর দলের টার্গেট ছিল বলিউড সুপারস্টার সলমন খান। বলিউডের 'প্রেম'কে হত্যা করার জন্য বিষ্ণোই দলবল শার্পশ্যুটার পাঠিয়েছিল। তেমনই দাবি করছে একটি সূত্র।
সূত্রের খবর সলমন খানের বাড়ি গ্যালাক্সির সামনেই সেই সুপারি কিলার শার্প শ্যুটারকে রাখা হয়েছিল। হকির কেসের মধ্যে নাকি অস্ত্রও নিয়ে এসেছিল সেই শ্যুটার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই শুটার রাজি হয়নি বলিউড সুপারস্টারকে হত্যা করতে। কিন্তু কেন রাজি হয়নি তা নিয়ে উঠছে এলাধিক প্রশ্ন।
সূত্রের খবর সলমন খানের ওপর দীর্ঘ দিন ধরেই নজর রাখছিল বিষ্ণোইর দলবল। রীতিমত রেইকি করেই তারা খুনের পরিকল্পনা করেছিল। যাইহোক সলমন খান যে রোজ সকালে সাইকেলিং করতে ও মর্নিং ওয়াকে বার হতেন তা তাদের নজরে ছিল। সলমন খানের সঙ্গে তাঁর বাবা সেলিম খানও তাঁর সঙ্গে সকালে বাড়ির বাইরে যান- সেটাও রেইকি করে জেনেছিল গ্যাংস্টারের দলবল।
এই ঘটনা সামনে আসার পরই মুম্বই পুলিশ সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয়। তার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর সঙ্গে সমস্ত অনুষ্ঠানগুলিতেও উপস্থিত থাকে। তবে হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে সলমন জানিয়েছেন কারও সঙ্গেই তাঁর শত্রুতার সম্পর্ক নেই। হুমকি চিঠির কথা স্বীকার করলেও হুমকি ফোনের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
বলিউড স্টার সলমন খান ও তাঁর বাবাকে হুমকি দেওয়ার সঙ্গে কী যোগ রয়েছে কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গে- এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ। কারণ সলমন খান ও তাঁর বাবাকে হুমকি মামলায় মুম্বই পুলিশ জেরা শুরু করেছে মুশেওয়ালা খুনের ঘটনায় ধৃত সিদ্ধেশ হীরামন কাম্বেলেকে। পুনেতে এসেই কাম্বেলে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ।পুনের গ্রামীণ পুলিশ সিদ্ধেশ কাম্বেলেকে গ্রেফতার করেছিল গত বুধবার। কাম্বেলে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অংশ। যা আগেই জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। মুম্বই পুলিশ খতিয়ে দেখতে চাইছে- সলমন খান ও তাঁর বাবাকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা হুমকি দিয়েছিল কিনা।