সংক্ষিপ্ত
সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আবেগঘন পোস্ট তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে রেডিও মির্চির। তবে রেডিও-র নয়। দুদশকের ও বেশি সময় ধরে এই রাজ্যের বহু মানুষের ঘুম ভাঙত রেডিও মির্চিতে মীরের কণ্ঠস্বর শুনে।
রথের সকাল থেকেই আকাশের মুখভার ছিল। সেই সঙ্গে আরও রেডিও শ্রোতাদের মন আরও খারাপ করে দিলেন বাংলার জনপ্রিয় সঞ্চালক মীর। এদিন সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আবেগঘন পোস্ট তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে রেডিও মির্চির। তবে রেডিও-র নয়। দুদশকের ও বেশি সময় ধরে এই রাজ্যের বহু মানুষের ঘুম ভাঙত রেডিও মির্চিতে মীরের কণ্ঠস্বর শুনে। তাই দীর্ঘ দিনে কাজের জায়গা ছেড়ে যেতে তাঁর মন খারাপ তা স্পষ্ট তাঁর পোস্টে। তবে এটাই ঠিক শ্রোতা বা অনুগামীদেরও মন খারাপ এই ঘোষণায়।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে রেডিওয়ার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে মীরের নাম। প্রথম আকাশবানী। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আকাশবানীতে অনুষ্ঠানের একটি পুরনো ছবিও পোস্ট করেন। তারপর ১৯৯৮ সালের ৬ অগাস্ট তিনি যোগ দিয়েছিলেন রেডিও মির্চিতে। সেইথেকেই তাঁরই বলা সুপ্রভা শুনে ঘুম ভাঙত অনেকের। রেডিও মির্চির সিগনেচার প্রোগ্রাম সানডেসাসপেন্স মানেই মীর। তবে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মীর সবকিছু জানালেও জানাননি তাঁর পরবর্তী গন্তব্য।
প্রশ্নটা উঠছেই মীরের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়। অন্য কোনও রেডিও স্টেশন না নিজের নতুন রেডিও স্টেশন! তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। বলে বলেছন, কষ্ট হচ্ছে ৮৯৮.৩ শতাংশ মতো। অনুরাগীদের নিশ্চয় বুঝতে বাকি থাকছে না আর যে তিনি রেডিও মির্চি স্টেশনের নম্বরের কথাই উল্লেখ করেছেন এক্ষেত্রে।
রেডিও পাশাপাশি টেলিভিশনেও জনপ্রিয় নাম মীর। খাস খবরের সংবাদ পাঠক হিসেবে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ। পরবর্তীকালে- হাঁউমাউ খাঁও, মীরাক্কেল, বেটাবেটির লড়াই-এর মত জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেছেন। বাংলা সিনেমাতেও দেখা গেছে তাঁকে। তবে এদিন মীরের ঘোষণার রীতিমত উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন তিনি কোথায় যাবেন।