সংক্ষিপ্ত
চরম বিপাকে টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বেজির সঙ্গে পোস্ট করা ছবি ঘিরে আইনি বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইনের ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলেই হতে পারে সাত বছরের কারাবাস। জানুন কোন অপরাধের সাজা ভুগতে চলেছেন তিনি?
ব্যাক্তিগত জীবন হোক বা কর্ম জীবন সাধারণত নেটিজেনদের চর্চাতেই থাকেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। তাঁর পোস্ট করা যে কোনও ছবি বা ভিডিওই মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট (Social Media Post) ঘিরেই চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। গত ১৫ই জানুয়ারি শ্রাবন্তী তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যেখানে লেখা ছিল 'হঠাৎই এক মিষ্টি বন্ধুর সঙ্গে দেখা, হ্যাশট্যাগ লাভ অ্যানিম্যাল (#LoveAnimal) হ্যাশত্যাগ কিউটিপাই (#Cutiepie)।' ছবিতে দেখা শ্রাবন্তী (Srabanti Chatterjee) একটি বেজিকে হাতে নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে এক্ষেত্রে বিতর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু হল 'বেজিটির গলায় থাকা চেন।' যা নিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন অভিনেত্রী।
এক নেটিজেন কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'বেজিটির গলায় থাকা চেন দেখে মনে হচ্ছে ওর শ্বাস রোধ করা হচ্ছে। ইটা কোনওভাবেই পশুপ্রেমী (Animal Lover) হওয়ার লক্ষণ হতে পারে না। আর নেটিজেন মজার ছলেই কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'বন্ধুকে বেঁধে রাখতে হয় বুঝি!' তবে এখানেই শেষ নয়, এরপরবিষয়টি নিয়ে আইনি সমস্যাতেও জড়িয়েছেন শ্রাবন্তী (Srabanti Chatterjee)। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২- এর ৯, ১১, ৩৯, ৪৮এ, ৪৯, ৪৯এ- র ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে শ্রাবন্তীর (Srabanti Chatterjee) বিরুদ্ধে। শীঘ্রই সল্টলেকের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল এবং ডেটা ম্যানেজমেন্ট অফিসের সামনে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। শুধু তাই নয় অপরাধ প্রমাণিত হলেই হতে পারে ৭ বছরের কারাবাস।
আরও পড়ুন- কুনাল-সোহার সঙ্গে শিবরাত্রিরের ব্রত পালন করল খুদে ইনায়া, ভাইরাল পুজোর ছবি
আরও পড়ুন- ২০২২-এ আসছে সনম তেরি কসমের সিক্যোয়েল, ইন্সটা পোস্টে সুখবর হর্ষবর্ধন রেনের
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে (Srabanti Chatterjee) গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নোটিশ পাঠানো হয় এবং তিন দিনের মধ্যে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয় বলে জানা গেছে। তবে সূত্রের খবর, এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের (Srabanti Chatterjee) এই মামলার প্রসঙ্গে এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন বন দপ্তরের এক আধিকারিক। তিনি বলেছেন, 'এইভাবে বন্যপ্রাণীকে আটকে রাখা খুবই গুরুতর একটি অপরাধ। তাঁর মত একজন পাবলিক ফিগার এমন করলে তা অন্যান্যদের ও এই ধরণের কাজে ইন্ধন যোগায়। ওনার উচিত এই ঘটনার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা। তবেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে আমরা লড়াই করতে সক্ষম হব।'
উল্লেখ্য, বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। নির্বাচনে হারের পর থেকেই আর বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখা যায় নি তাঁর। এরপর বেশ কিছু অভিযোগের কথা জানিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন শ্রাবন্তী (Srabanti Chatterjee)। সম্প্রতি কিছুদিন আগে আবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। বাংলায় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে শ্রাবন্তী (Srabanti Chatterjee) জানান 'তিনি তো তৃণমূলেই (TMC) ছিলেন।' বর্তমানে শ্রাবন্তী (Srabanti Chatterjee) তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া আইনি সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তাঁর আইনজীবী এস কে হাবিবউদ্দিন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা আগে গোটা বিষয়টি ভালভাবে জানবেন। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে পারবেন।