সংক্ষিপ্ত
এই উঠতি মডেলের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।
পল্লবী দের পরে আরও এক অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। দমদম নাগেরবাজারের বাসিন্দা বিদিশা দে মজুমদারের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ বছর বয়েসী এই মডেল আত্মহত্যা করেছেন কীনা, তা জানা যায় নি। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
তবে এই উঠতি মডেলের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।
গত ১৫ মে রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় 'মন মানে না' খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ। আর এরপর থেকেই অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ খুঁজে চলেছে পুলিশ। আর তার ফলেই উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেম থেকে আর্থিক তছরূপের একাধিক তথ্য। প্রথম দিন থেকেই অভিনেত্রীর মৃত্যুকাণ্ডে সন্দেহের নিশানায় পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। যদিও পুলিশী জেরায় সাগ্নিক জানিয়েছে যে বারান্দায় যখন ধূমপান করতে গেছিল সাগ্নিক তখনই আচমকা এহেন ঘটনা ঘটিয়ে বসেন পল্লবী। তারপর সে নিজেই পল্লবীকে নামিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কারণ প্রথম দিন থেকে সাগ্নিককেই দায়ী করেছেন পল্লবীর পরিবার।
এদিকে, পল্লবীর মৃত্যুতে রীতিমত অবাক হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন বিদিশা। মানতেই পারেননি পল্লবীর মৃত্যু। সেই পোস্টে বিদিশার কষ্ট, যন্ত্রণা ফুটে উঠেছিল। তার ঠিক দশ দিনের মাথাতে কি এমন হল যে খোদ বিদিশাই চলে গেলেন, এই প্রশ্নই এখন তদন্তকারীদের সামনে।