সংক্ষিপ্ত

যে ক্লিপটি এসেছে সেটিতে মাত্র ১১টা সেকেন্ডের। সেখানে দেখা লম্বা পোশাক পরা আর মাথায় টুপি পরা এক মুসলিস যুবক এক কিশোরীকে রাস্তার ওপর জোর করে চুমু খায়।

 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে একটি ছোট্ট ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোরীকে জোর করে চুমু খায়। তারপরই দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিশোরী রীতিমত হতবাক হয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে এই ঘটনা কি সত্যি ভারতে ঘটেছে?

আসুন দেখেনি সত্য ঘটনা কী-

ভাইরাল ভিডিওঃ

আমাদের হাতে যে ক্লিপটি এসেছে সেটিতে মাত্র ১১টা সেকেন্ডের। সেখানে দেখা লম্বা পোশাক পরা আর মাথায় টুপি পরা এক মুসলিস যুবক এক কিশোরীকে রাস্তার ওপর জোর করে চুমু খায়। কিশোরীর পরনে ছিল স্কুল ড্রেস। কাঁধে ছিল ব্যাগ। ভিডিও ফুটেজ থেকে স্পষ্ট যে যুবক মেয়েটিকে জোর করে চুমু খেয়েছে। মেয়েটি ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠে।

পোস্টে দাবি করা হয়েছে, 'আপনার কন্যা সন্তানদের একা ছাড়া যাবে না. লোকজন স্থানীয় মৌলভিকে শনাক্ত করে ধরে ফেললে কাঁদতে থাকে ও তার মাকে ভিড়ের হাত থেকে বাঁচাতে জড়িয়ে ধরে।' ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে 'রোজার মাসে এটা কী হচ্ছে দিনাজপুরে...'দেখুন সেই ভিডিওঃ

 

 

সত্যিটা কি?

মেগা আপডেট নামের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। একটি সংবাদ মাধ্যমের নামও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে হাফেজিয়া মাদ্রাসার একজন ছাত্রীকে চুমু খেয়েছে।

এই সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে এটি দিনাজপুরের ঘটনা। তবে এই দেশে নয়। বাংলাদেশের দিনাজপুরের ঘটনা। ঘটনাটি সত্যি। সেখানে বলা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই এই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে রবিবার সকালে স্কুলের শিশু দিবসের অনুষ্ঠানের পর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেয়েটি তার দিদির বাড়ি যাচ্ছিল। বালুয়াডাঙ্গার আরিফুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন তাকে চুমু খায়। ছেলেটি ২০ বছর বসয়ী। স্নতাক ডিগ্রি রয়েছে হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে মেয়েটি হঠাৎ শ্লীলতাহানির কারণে ভয় পেয়ে যায়। বোনের বাড়ির গেটের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মেয়েটি চিৎকার করলে ছেলেটি মেয়েটির গালে আঁচড়ে দেয়। স্থানীয়রা ছেলেটিকে পাকড়াও করে। মারধরও করে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তথ্য বলছে এই ঘটনা ভারতের নয়। বাংলাদেশের।

বাংলাদেশে ভিডিওটি প্রচুর শেয়ার করা হয়েছে। মুসলিম তরুণের নিন্দায় সরব হয়েছে স্থানীয়রা। রিপোর্ট অনুযায়ী ছেলেটিতে আদালতে পেশ করা হয়েছে।